শামসুন্নাহার বেগমের স্বামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে অটোরিকশা চালাতেন। তাই দিয়ে চলত তিন সন্তানসহ ছয়জনের সংসার। কিন্তু লকডাউন শুরু হলে সংসারের আয়ের একমাত্র অবলম্বন রিকশা চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিন কাটছিল তাঁদের।
এর মধ্যে শামসুন্নাহার প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন, ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে সরকার। শুক্রবার দুপুরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন দেন তিনি। সেখান থেকে ফোন আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে। খোঁজখবর করে শুক্রবার বিকেলে খাদ্যসহায়তা নিয়ে শামসুন্নাহারের বাড়িতে হাজির হন ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া।
শামসুন্নাহারের মতো ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্যসহায়তা চাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ৩৭টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। সহায়তা হিসেবে তাঁরা পান ১০ কেজি চাল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি আটা, ১ কেজি চিনি ও ১ কেজি পেঁয়াজ। আজ শুক্রবার বিকেলে বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় মানুষকে এসব খাদ্যসহায়তা বিতরণ করেন ইউএনও।
খাদ্যসহায়তা পেয়ে খুশি গৃহবধূ শামসুন্নাহার বেগম। তিনি বলেন, ‘এত দ্রুত খাবার পাব ভাবিনি। কল দেওয়ার পরপরই খাবার নিয়ে হাজির হলেন ইউএনও স্যার। এই খাবার দিয়ে ৮-১০ দিন চলতে পারব।’
জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডার রহমত আলী অসুস্থ হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন। তিনি রিকশা চালাতেন। রহমত বলেন, পরিবারে স্ত্রী, মা, বোন, চার সন্তানসহ আটজন রয়েছেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে আর রিকশা চালাতে পারেন না। শুক্রবার সকালে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাবার চেয়েছিলেন। বিকেলে ইউএনও বাড়িতে এসে খাবার দিয়ে গেছে।
ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, লকডাউনের কারণে অনেকে সাময়িক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ৩৩৩ নম্বরে সাহায্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই সাপেক্ষে ৩৭ জনকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :