logo
Tuesday , 31 January 2023
  1. সকল নিউজ

খোলাবাজার থেকে এলএনজি আমদানি আবার শুরু হচ্ছে

প্রতিবেদক
admin
January 31, 2023 9:27 am

প্রায় আট মাস পর আন্তর্জাতিক খোলাবাজার (স্পট মার্কেট) থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস কিনতে যাচ্ছে সরকার। ডলার-সংকট থাকলেও বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম কমতে থাকা এবং দেশে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর পর খোলাবাজারের এলএনজি দেশে আসছে। গ্যাস ঘাটতি প্রকট হওয়ার পর এবং আসন্ন গরমকালে বিদ্যুৎ-জ্বালানির ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পেট্রোবাংলার প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি সূত্র জানায়, আগামী ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে একটি এলএনজিবাহী কার্গো দেশে আসবে। সেটি থেকে গ্রিডে গ্যাস যাবে।

এ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার এক পরিচালক বলেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির বাইরে খোলাবাজার থেকে এলএনজি আমদানি ফের শুরু করা হবে। এ জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে কবে থেকে ফের খোলা বাজার থেকে এলএনজি আমদানি হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

দেশে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতারের রাসগ্যাস এবং ওমানের ওমান ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল থেকে এলএনজি আমদানি করে সরকার। বিশ্ববাজারে দর উঠানামা করলেও চুক্তির আওতায় একই দরে এলএনজি আমদানি করা হয়। অন্যদিকে খোলাবাজার থেকে চলমান দর অনুযায়ী গ্যাস আমদানি করতে হয়। বিশ্ববাজারে এলএনজির দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং ডলারের বিপরীতে টাকার মান পড়তে থাকায় গত বছরের জুন মাস থেকে খোলাবাজার থেকে এলএনজি আমদানি বন্ধ রেখেছে পেট্রোবাংলা। এর ফলে গ্যাস ঘাটতিতে থাকা দেশে সংকট আরো বেড়ে যায়।

দেশে দৈনিক প্রায় ৪০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে কম-বেশি ২৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৪০-৪২ কোটি ঘনফুট এলএনজি থেকে রূপান্তরিত গ্যাস। তবে দেশে দৈনিক ১০০ কোটি ঘনফুট এলএনজি রূপান্তরের সক্ষমতা রয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত স্পট মার্কেট থেকে দেশে ২৯ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হয়েছে। আর চুক্তির আওতায় ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর প্রায় ৪০ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হয়।

বিশ্ববাজারে গত পাঁচ মাসে এলএনজির দাম কমেছে ৭০ শতাংশের বেশি। বাজারে এখন প্রতি এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজির দাম নেমে এসেছে প্রায় ২২ ডলারে। ব্যয়বহুল এ জ্বালানির দাম সামনে আরো কমতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

পেট্রোবাংলা খোলাবাজার থেকে সর্বশেষ এলএনজি কিনেছিল গত বছরের মে মাসে। তখন প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়েছিল ২৬ ডলার ৪ সেন্ট।

গত জুনে সিএনজিবাদে সব শ্রেণির গ্রাহকের জন্য গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল সরকার। চলতি জানুয়ারিতে শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্য গ্রাহকদের জন্য ফের গ্যাসের দাম বাড়ায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। বড় ব্যবধানে মূল্যবৃদ্ধিসহ গ্যাসের নতুন মূল্যহার আগামীকাল ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। সর্বশেষ দাম বৃদ্ধির ফলে শুধু বিদ্যুৎ এবং শিল্প থেকেই ২৭ হাজার কোটি টাকার বেশি বাড়তি আয় করবে সরকার। ২০২০-২১ সালের সমান পরিমাণ গ্যাস এ দুই খাতে ব্যবহৃত হলে এ বাড়তি আয় হবে। তবে ঐ বছরের চেয়ে আগামী এক বছর বেশি গ্যাস ব্যবহূত হওয়ার কথা।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত