অবশ্য বিপিএলের পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের কারোরই আসর শেষ করে যাওয়ার কথা ছিল না। পিসিবি তাঁদের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দিয়েছিল ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই। এখন নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ছয় দিন আগেই ফিরে যেতে হচ্ছে তাঁদের। অর্থাৎ পিএসএল শুরুর ১১ দিন আগে। বিপিএলের সিলেট পর্ব শেষ হতে না হতেই পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা চলে গেলে আক্রান্ত হওয়ার কথা সব দলেরই। সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিটিতেই অন্তত তিনজন করে পাকিস্তানি আছেন। সর্বোচ্চ পাঁচজন আছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে।
যদিও পিসিবির এই সিদ্ধান্তের পরও বিপিএলের কোনো কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি দাবি করছে, তাদের পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের পিসিবির দেওয়া আগের অনাপত্তিপত্র অনুযায়ী ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্তই পাওয়া যাবে। নিজ নিজ ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে কথা বলে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি ক্রিকেটার নাকি বিপিএলের আরো কিছু ম্যাচ খেলে যাওয়ার ব্যাপারটি নিশ্চিতও করেছেন। সেই হিসাবে রংপুর রাইডার্সের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা কম। দলটির নির্বাহী পরিচালক শানিয়ান তানিম বলছিলেন সেটিই, ‘আমাদের পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা থাকছে। ওরা যাবে ৯ ফেব্রুয়ারি। পিএসএলে ওরা যেসব ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলবে, তাদের সঙ্গে কথা বলে এরই মধ্যে আমাদের নিশ্চিতও করেছে। কাজেই আরো কিছুদিন আমরা ওদের পাচ্ছি।’ তাই শোয়েব মালিক, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ নওয়াজকে এখনই হারাচ্ছে না ২০১৭-র চ্যাম্পিয়নরা।
একই রকম তৎপরতা থাকার কথা অন্যান্য দলের পাকিস্তানি ক্রিকেটারদেরও। কারণ আগেভাগে চলে যেতে হলে বিপিএল থেকে আয়ের অঙ্কেও তা প্রভাব ফেলবে। তবে রংপুরের মতো এখনই নিশ্চিত করে বলার মতো অবস্থায় বোধ হয় নেই আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি। মোহাম্মদ রিজওয়ান, হাসান আলী, খুশদিল শাহ, আবরার আহমেদ এবং নাসিম শাহকে নিয়ে বিপাক থেকে কুমিল্লাও বেরিয়ে আসতে পেরেছে কি না, সে খোঁজ নিতে গিয়ে শোনা দলটির ম্যানেজার আহসানউল্লাহ হাসানের বক্তব্য বরং আরো বিস্ময় ছড়াতে বাধ্য, ‘আমাদের পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বললাম। এ রকম কিছু (পিসিবির নির্দেশনা) দিয়েছে কি না, ওরাও সে বিষয়ে নিশ্চিত নয়।’