দেশে ফিরে সাংবাদিকদের ভূমিকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন গণপরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। দেশে ফিরে সেই সাংবাদিকদের নিয়েই দুই বার সংবাদ সম্মেলনে বসেছেন তিনি। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার আজকের উত্থানে পেছনে গণমাধ্যমের একটি বড় ইতিবাচক ভূমিকা ছিল। সোমবার (৯ জানুয়ারি) সৌদি থেকে দেওয়া লাইভে অবশ্য সাংবাদিকদের প্রতি এতো ভালোবাসা প্রকাশ করেননি নুর। উল্টো তাদের ক্রীতদাস, দালাল এবং হাটে বিক্রির গরু ছাগল বলে সম্বোধন করেন তিনি। সেই লাইভে নুর বলেন, বিদেশি পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে বাংলাদেশ দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। আর তারা তাদের ক্রীতদাসের সাংবাদিকদের দিয়ে এই গুজব ও প্রোপাগান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদেশি কোনো পত্রপত্রিকায় ‘বাংলাদেশ দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে’ বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা করেননি তিনি। এদিকে, এমন কোনো খবর মেলেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। এই লাইভে সাংবাদিকদের ‘দালাল’ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করে নুর বলেন, ‘আপনারা যে দালালিটা করলেন, এটা কী কোন নীতিমালার মধ্যে পড়ে? এগুলো একেবারেই ক্রীতদাসের সাংবাদিকতা। রাজনীতির মাঠে গরু ছাগলের মত সাংবাদিকরা বিক্রি হচ্ছে। এভাবে বিক্রি হবে তা আমরা আশা করিনি।’ অন্যদিকে, দেশে ফিরেই বুধবার সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা প্রকাশ করে নুর। তিনি বলেন, আমি মিডিয়াকে এভোয়েড করতে চাই না, মিডিয়াকে আমি সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করি, সম্মান করি। আমার আজকের উত্থানে পেছনে আমি মনে করি, গণমাধ্যমের একটি বড় ইতিবাচক ভূমিকা ছিল। এই কৃতজ্ঞতার কারণে আমি গণমাধ্যমের প্রতি সব সময় সহনশীল থাকি। অবশ্য নুরের এমন দ্বিচারিতা নতুন কিছু নয়। নেতৃত্ব লাভের শুরু থেকেই তিনি বিভিন্ন সময় পরস্পর বিরোধী মন্তব্য করার কারণে সমালোচিত হয়েছেন। ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পর্যায়ের আলোচনা আসেন তিনি। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে কারচুপির অভিযোগ এনে তা প্রত্যাহারের কথা বলেন নুর। তৎকালীন প্রশাসনের অধীনে ভোটে যাবেন না বললেও শেষমেশ নির্বাচনে অংশ নেন তিনি।