logo
Thursday , 12 January 2023
  1. সকল নিউজ

মহামারি মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি

প্রতিবেদক
admin
January 12, 2023 9:29 am

বর্তমান দুই প্রজন্মের জন্য নজিরবিহীন এক বিশ্বমারি বয়ে যাচ্ছে গোটা পৃথিবীর বুকজুড়ে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই বিশ্ব্বমারির ২০২৩ সালে সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা জাগিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস। যদিও কভিড-১৯ শ্বাসতন্ত্রের রোগ হিসেবে থেকে যাবে এর পরেও।

এ ধরনের বিশ্বমারি কত দিন পর পর আসে? বর্তমান বিশ্বমারি এসেছে ১০ বছর পর। ২০০৯ সালে দুনিয়াজুড়ে ‘সোয়াইন ফ্লু’ নামে পরিচিত প্যান্ডেমিক ইনফ্লুয়েঞ্জা এ০৯ ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বমারি আকারে। তবে সেই বিশ্বমারিতে কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর সংখ্যা অস্বাভাবিক পর্যায়ে ছিল না। ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণে এর আগের বছরে (২০০৮) যত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে, তার চেয়ে খুব একটা বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি ২০০৯ সালে।

রোগতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের চেয়ে ঘন ঘন বিশ্বমারি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এর জন্য যে কারণগুলোকে দায়ী করা যেতে পারে :

মানুষ ও প্রাণী আগের চেয়ে অনেক বেশি কাছাকাছি বাস করে। একদিকে প্রাণীর আবাসস্থল বন-জঙ্গল উজাড় হচ্ছে মানববসতি, কল-কারখানা ও রাস্তাঘাট তৈরি করার জন্য। বন্য প্রাণিকুল বনছাড়া হয়ে তাদেরই জায়গায় গড়ে ওঠা নতুন লোকালয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে খাবার ও আশ্রয়ের খোঁজে। বাংলাদেশে এর উদাহরণ হচ্ছে বাদুড়ের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ। বাদুড় এখন দিনের বেলা ঘুমানোর জন্য জঙ্গলের দেখা পাচ্ছে না। আমরা দেখি, দিনের বেলা লোকালয়ের বাঁশঝাড়ে বা রাস্তার পাশে বড় গাছের ডালে বাদুড় ঘুমাচ্ছে। আর রাতে খাবারের খোঁজে খেজুরের কাঁচা রসের হাাঁড়িতে মুখ দিচ্ছে। বাদুড়ের লালা ও মূত্রমিশ্রিত খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে মানুষ প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। বাদুড়ের খাবারের জায়গা ছিল বনের ভেতরের নানা বুনো ফল। বনই নেই, বুনো ফলের গাছ আসবে কোত্থেকে? অন্যদিকে খাবারের প্রয়োজনে মানুষ প্রাণী (যেমন—গরু, ছাগল, শূকর) ও পাখির (যেমন—মুরগি, টার্কি) খামার গড়ে তুলেছে। এই খামারগুলোতে যারা কাজ করে, তারা সহজেই প্রাণী ও পাখির অণুজীব (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইট ইত্যাদি) দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন—গরু থেকে অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা; মুরগি থেকে বার্ড ফ্লুর মাধ্যমে মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাণী ও পাখিরাও তেমনি মানুষ দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে মানুষ ও প্রাণী ভাইরাসমিশ্রিত হয়ে নতুন ভাইরাসের জন্ম হয়ে তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার বিপদ তৈরি হচ্ছে। নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে যেহেতু আগে থেকে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না, তাই নতুন রোগে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এখনকার নতুন রোগের ৭০ শতাংশই হচ্ছে প্রাণিবাহিত।

মানুষ চলাচলের যোগাযোগব্যবস্থা এত দ্রুত গতিসম্পন্ন হয়েছে যে মানুষের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রামক রোগের অণুজীব দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ছে মুহূর্তেই। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো দেশ থেকে সংক্রামক অণুজীব পৃথিবীর যেকোনো দেশে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।

জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা শুধু সংক্রামক ব্যাধি নিয়েই চিন্তিত নন; পরিবেশদূষণজাত যেকোনো স্বাস্থ্য বিপর্যয়কারী উপাদানও একইভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বায়ুদূষণ, তেজস্ক্রিয় পদার্থের দূষণ, পানি বা বায়ুর মাধ্যমে রাসায়নিক দূষণ প্রভৃতিও জনস্বাস্থ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী হুমকি তৈরি করেছে।

এগুলো ঠেকানোর উপায় কী?

প্রথমত, এগুলো যেন না ঘটে সব সময় সেদিকে সতর্ক থাকা। অর্থাৎ প্রতিরোধমূলক, স্বাস্থ্য উন্নয়নমূলক ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা শুধু রোগের চিকিৎসাকেই গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলে গণ্য করি। কিন্তু রোগবালাই ঠেকানোর ব্যবস্থা করা না হলে রোগীর সংখ্যা যদি বাড়তেই থাকে, তাহলে পাড়ায় পাড়ায় হাসপাতাল হলেও মহামারি বা বিশ্বমারির মতো অবস্থা ঠেকানো যাবে না। মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, ন্যূনতম পুষ্টি নিশ্চিত করা, নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা প্রভৃতি এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে, যেন কোনো মানুষ বা লোকালয় এর বাইরে না থাকে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষায়, যতক্ষণ প্রতিটি দেশ ও প্রতিটি মানুষ সুরক্ষিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো দেশ বা কোনো মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে সুরক্ষা অর্জন করতে পারবে না।

দ্বিতীয়ত, সংক্রামক রোগ বা স্বাস্থ্য দুর্ঘটনা ধরতে পারার জন্য চাই রোগ নজরদারির ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি সুবিধা এর অপরিহার্য অংশ। কিন্তু যেখানে রক্ত-মল-মূত্র প্রভৃতির সাধারণ পরীক্ষার সুবিধা নেই, সেখানে মহামারি ঘটাতে সক্ষম এমন অণুজীব শনাক্ত করার আধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরি করে দিলেও সেটি কি টিকে থাকতে পারবে? এখন একমাত্র আইইডিসিআরে মহামারিজাতীয় রোগের অণুজীব পরীক্ষার সুবিধা আছে। এ ধরনের সুবিধা অন্তত বিভাগীয় পর্যায়ে বিস্তৃৃত করা দরকার।

তৃতীয়ত, জনস্বাস্থ্য দুর্ঘটনা যখনই ঘটুক তাৎক্ষণিকভাবে তা মোকাবেলা করারবর্তমান দুই প্রজন্মের জন্য নজিরবিহীন এক বিশ্বমারি বয়ে যাচ্ছে গোটা পৃথিবীর বুকজুড়ে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া এই বিশ্ব্বমারির ২০২৩ সালে সমাপ্তি ঘটবে বলে আশা জাগিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস। যদিও কভিড-১৯ শ্বাসতন্ত্রের রোগ হিসেবে থেকে যাবে এর পরেও।

এ ধরনের বিশ্বমারি কত দিন পর পর আসে? বর্তমান বিশ্বমারি এসেছে ১০ বছর পর। ২০০৯ সালে দুনিয়াজুড়ে ‘সোয়াইন ফ্লু’ নামে পরিচিত প্যান্ডেমিক ইনফ্লুয়েঞ্জা এ০৯ ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বমারি আকারে। তবে সেই বিশ্বমারিতে কোটি কোটি মানুষ আক্রান্ত হলেও মৃত্যুর সংখ্যা অস্বাভাবিক পর্যায়ে ছিল না। ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণে এর আগের বছরে (২০০৮) যত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে, তার চেয়ে খুব একটা বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি ২০০৯ সালে।

রোগতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগের চেয়ে ঘন ঘন বিশ্বমারি ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এর জন্য যে কারণগুলোকে দায়ী করা যেতে পারে :

মানুষ ও প্রাণী আগের চেয়ে অনেক বেশি কাছাকাছি বাস করে। একদিকে প্রাণীর আবাসস্থল বন-জঙ্গল উজাড় হচ্ছে মানববসতি, কল-কারখানা ও রাস্তাঘাট তৈরি করার জন্য। বন্য প্রাণিকুল বনছাড়া হয়ে তাদেরই জায়গায় গড়ে ওঠা নতুন লোকালয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে খাবার ও আশ্রয়ের খোঁজে। বাংলাদেশে এর উদাহরণ হচ্ছে বাদুড়ের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ। বাদুড় এখন দিনের বেলা ঘুমানোর জন্য জঙ্গলের দেখা পাচ্ছে না। আমরা দেখি, দিনের বেলা লোকালয়ের বাঁশঝাড়ে বা রাস্তার পাশে বড় গাছের ডালে বাদুড় ঘুমাচ্ছে। আর রাতে খাবারের খোঁজে খেজুরের কাঁচা রসের হাাঁড়িতে মুখ দিচ্ছে। বাদুড়ের লালা ও মূত্রমিশ্রিত খেজুরের কাঁচা রস খেয়ে মানুষ প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে। বাদুড়ের খাবারের জায়গা ছিল বনের ভেতরের নানা বুনো ফল। বনই নেই, বুনো ফলের গাছ আসবে কোত্থেকে? অন্যদিকে খাবারের প্রয়োজনে মানুষ প্রাণী (যেমন—গরু, ছাগল, শূকর) ও পাখির (যেমন—মুরগি, টার্কি) খামার গড়ে তুলেছে। এই খামারগুলোতে যারা কাজ করে, তারা সহজেই প্রাণী ও পাখির অণুজীব (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্যারাসাইট ইত্যাদি) দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন—গরু থেকে অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা; মুরগি থেকে বার্ড ফ্লুর মাধ্যমে মানুষও আক্রান্ত হচ্ছে। প্রাণী ও পাখিরাও তেমনি মানুষ দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে মানুষ ও প্রাণী ভাইরাসমিশ্রিত হয়ে নতুন ভাইরাসের জন্ম হয়ে তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ার বিপদ তৈরি হচ্ছে। নতুন ভাইরাসের বিরুদ্ধে যেহেতু আগে থেকে মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না, তাই নতুন রোগে মানুষের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এখনকার নতুন রোগের ৭০ শতাংশই হচ্ছে প্রাণিবাহিত।

মানুষ চলাচলের যোগাযোগব্যবস্থা এত দ্রুত গতিসম্পন্ন হয়েছে যে মানুষের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রামক রোগের অণুজীব দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়ছে মুহূর্তেই। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে যেকোনো দেশ থেকে সংক্রামক অণুজীব পৃথিবীর যেকোনো দেশে ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।

জনস্বাস্থ্য বিজ্ঞানীরা শুধু সংক্রামক ব্যাধি নিয়েই চিন্তিত নন; পরিবেশদূষণজাত যেকোনো স্বাস্থ্য বিপর্যয়কারী উপাদানও একইভাবে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বায়ুদূষণ, তেজস্ক্রিয় পদার্থের দূষণ, পানি বা বায়ুর মাধ্যমে রাসায়নিক দূষণ প্রভৃতিও জনস্বাস্থ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী হুমকি তৈরি করেছে।

এগুলো ঠেকানোর উপায় কী?

প্রথমত, এগুলো যেন না ঘটে সব সময় সেদিকে সতর্ক থাকা। অর্থাৎ প্রতিরোধমূলক, স্বাস্থ্য উন্নয়নমূলক ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমরা শুধু রোগের চিকিৎসাকেই গোটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা বলে গণ্য করি। কিন্তু রোগবালাই ঠেকানোর ব্যবস্থা করা না হলে রোগীর সংখ্যা যদি বাড়তেই থাকে, তাহলে পাড়ায় পাড়ায় হাসপাতাল হলেও মহামারি বা বিশ্বমারির মতো অবস্থা ঠেকানো যাবে না। মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা, ন্যূনতম পুষ্টি নিশ্চিত করা, নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশনব্যবস্থা প্রভৃতি এমনভাবে নিশ্চিত করতে হবে, যেন কোনো মানুষ বা লোকালয় এর বাইরে না থাকে। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষায়, যতক্ষণ প্রতিটি দেশ ও প্রতিটি মানুষ সুরক্ষিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো দেশ বা কোনো মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে সুরক্ষা অর্জন করতে পারবে না।

দ্বিতীয়ত, সংক্রামক রোগ বা স্বাস্থ্য দুর্ঘটনা ধরতে পারার জন্য চাই রোগ নজরদারির ব্যবস্থা। অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি সুবিধা এর অপরিহার্য অংশ। কিন্তু যেখানে রক্ত-মল-মূত্র প্রভৃতির সাধারণ পরীক্ষার সুবিধা নেই, সেখানে মহামারি ঘটাতে সক্ষম এমন অণুজীব শনাক্ত করার আধুনিক ল্যাবরেটরি তৈরি করে দিলেও সেটি কি টিকে থাকতে পারবে? এখন একমাত্র আইইডিসিআরে মহামারিজাতীয় রোগের অণুজীব পরীক্ষার সুবিধা আছে। এ ধরনের সুবিধা অন্তত বিভাগীয় পর্যায়ে বিস্তৃৃত করা দরকার।

তৃতীয়ত, জনস্বাস্থ্য দুর্ঘটনা যখনই ঘটুক তাৎক্ষণিকভাবে তা মোকাবেলা করার জন্য ব্যবস্থার উপস্থিতি। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, কোনো স্থানে আগুন লাগার দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তা নিভিয়ে ফেলার চেষ্টা করি। নিজেরা না পারলে ফায়ার ব্রিগেডকে ডাকি। তেমনি কোনো রোগব্যাধিতে যদি হঠাৎ করে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা অস্বাভাবিক সংখ্যায় মানুষ মৃত্যুবরণ করে অর্থাৎ জনস্বাস্থ্য দুর্ঘটনা ঘটে, তখন সেটি তাৎক্ষণিকভাবে বৈজ্ঞানিক তদন্ত করে অসুস্থতা ও মৃত্যুর মোকাবেলা করার জন্য জনস্বাস্থ্য বিভাগের থাকে র‌্যাপিড রেসপন্স টিম—দ্রুত মোকাবেলা দল। জাতীয় পর্যায়ে র‌্যাপিড রেসপন্স টিম আছে আইইডিসিআরে। এ ধরনের টিম জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গড়ে উঠছে।

চতুর্থত, দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে যাতায়াতকারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্বাস্থ্য নজরদারি ও কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে কি না। এ জন্য সবচেয়ে আগে দরকার আন্তর্জাতিক বন্দরগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপদ পানি-খাবারের ব্যবস্থা, মশা-মাছিমুক্ত পরিবেশ আছে কি না ইত্যাদি নিশ্চিত করা।

বিশ্বমারি বা মহামারি ঘটাতে সক্ষম এমন জনস্বাস্থ্য দুর্ঘটনা মোকাবেলা করার জন্য একটি দেশে যা যা থাকা দরকার, তার পূর্বশর্ত হচ্ছে, ওই দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকা। আর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হতে পারে যদি সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। একটি কল্যাণরাষ্ট্রের পক্ষেই তা করা সম্ভব। যে রাষ্ট্র যত জনকল্যাণধর্মী সে রাষ্ট্র তত ভালোভাবে বিশ্বমারি/মহামারি/জনস্বাস্থ্যের বিপদ মোকাবেলা করতে পারে। চলমান কভিড-১৯ বিশ্বমারি সেটাই দেখিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ সারা দেশে সব নাগরিকের জন্য মানসম্পন্ন সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের সরকার তা বাস্তবায়ন করবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ বিশ্বমারি মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হব। জন্য ব্যবস্থার উপস্থিতি। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, কোনো স্থানে আগুন লাগার দুর্ঘটনা ঘটলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তা নিভিয়ে ফেলার চেষ্টা করি। নিজেরা না পারলে ফায়ার ব্রিগেডকে ডাকি। তেমনি কোনো রোগব্যাধিতে যদি হঠাৎ করে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে কিংবা অস্বাভাবিক সংখ্যায় মানুষ মৃত্যুবরণ করে অর্থাৎ জনস্বাস্থ্য দুর্ঘটনা ঘটে, তখন সেটি তাৎক্ষণিকভাবে বৈজ্ঞানিক তদন্ত করে অসুস্থতা ও মৃত্যুর মোকাবেলা করার জন্য জনস্বাস্থ্য বিভাগের থাকে র‌্যাপিড রেসপন্স টিম—দ্রুত মোকাবেলা দল। জাতীয় পর্যায়ে র‌্যাপিড রেসপন্স টিম আছে আইইডিসিআরে। এ ধরনের টিম জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গড়ে উঠছে।

চতুর্থত, দেশের আন্তর্জাতিক প্রবেশপথে অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বিমান, নৌ ও স্থলবন্দরে যাতায়াতকারী যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, স্বাস্থ্য নজরদারি ও কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জরুরি চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে কি না। এ জন্য সবচেয়ে আগে দরকার আন্তর্জাতিক বন্দরগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপদ পানি-খাবারের ব্যবস্থা, মশা-মাছিমুক্ত পরিবেশ আছে কি না ইত্যাদি নিশ্চিত করা।

বিশ্বমারি বা মহামারি ঘটাতে সক্ষম এমন জনস্বাস্থ্য দুর্ঘটনা মোকাবেলা করার জন্য একটি দেশে যা যা থাকা দরকার, তার পূর্বশর্ত হচ্ছে, ওই দেশে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যবস্থা থাকা। আর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হতে পারে যদি সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। একটি কল্যাণরাষ্ট্রের পক্ষেই তা করা সম্ভব। যে রাষ্ট্র যত জনকল্যাণধর্মী সে রাষ্ট্র তত ভালোভাবে বিশ্বমারি/মহামারি/জনস্বাস্থ্যের বিপদ মোকাবেলা করতে পারে। চলমান কভিড-১৯ বিশ্বমারি সেটাই দেখিয়েছে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ সারা দেশে সব নাগরিকের জন্য মানসম্পন্ন সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের সরকার তা বাস্তবায়ন করবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ বিশ্বমারি মোকাবেলা করতে আমরা সক্ষম হব।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত