logo
Sunday , 1 January 2023
  1. সকল নিউজ

নির্বাচন সামনে, রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বছর

প্রতিবেদক
admin
January 1, 2023 9:16 am

২০২৩ সালটি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ। পরের বছরের (২০২৪) জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা। তবে সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনি সময় শুরু হবে এ বছরেরই ২৯ নভেম্বর থেকে। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির গতিপ্রকৃতি কোনদিকে বাঁক নেয়—এটিই এখন সর্বত্র আলোচনার মুখ্য বিষয়।

সংবিধানের ৭২(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ প্রথম বৈঠকের দিন থেকে পাঁচ বছর। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর চলতি সংসদের প্রথম বৈঠক বসেছিল ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সেই হিসেবে চলমান একাদশ সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। আর সংবিধানের ১২৩(৩)ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসেব মোতাবেক, এ বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। যদিও সংবিধানের ১২৩(৩)খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সুযোগ রয়েছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিদায়ি বছরের আগস্টে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথমদিকে নির্বাচন হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন হতে পারে।

একদিকে এ বছরের রাজনীতি আবর্তিত হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, অন্যদিকে ২০২৩ সালকে বিশ্ব অর্থনীতির জন্যও সংকটের বছর বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্ভাব্য সেই সংকটের ঢেউয়ে স্থানীয় রাজনীতির ছবি কেমন হবে—সেটি নিয়েও বিশ্লেষণের অন্ত নেই। রাশিয়া-ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধের স্থায়িত্ব এবং এটিকে ঘিরে বিশ্ব রাজনীতি কোনদিকে গড়ায়—তা নিয়েও রয়েছে গভীর ভাবনা। এছাড়া ভূরাজনীতির দিকেও চোখ রাখছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বছরের স্থানীয় রাজনীতি ও আগামী নির্বাচনের সঙ্গে বিশ্ব রাজনীতি এবং অর্থনীতির সম্ভাব্য গতিপ্রকৃতিও সম্পৃক্ত বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সম্ভাব্য সবকিছু বিবেচনায় রেখেই নির্বাচনি প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ বছরের যে কোনোদিন মন্ত্রিসভার পরিধি ছোট করে আনা হতে পারে। নির্বাচন সামনে রেখে অভিজ্ঞ ও জ্যেষ্ঠদের সমন্বয়ে গঠন করা হতে পারে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’। যেমনটি করা হয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগেও। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর।

নির্বাচন সামনে রেখে এ বছর রাজনীতিতে সংঘাত-সহিংসতারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিএনপি ও দলটির মিত্ররা সরকারবিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের পথনকশা করছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও বলছে, বিএনপিকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ নিজেদের দখলে রাখারও প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। ফলে, সরকারবিরোধী আন্দোলন এবং সেটিকে মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের অবস্থানে শেষ পর্যন্ত রাজনীতি কোনদিকে মোড় নেবে—সেটির উত্তর এখনো অজানা।

এদিকে, ভোটের আগেই এ বছরের এপ্রিলে মেয়াদ শেষ হচ্ছে বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের। সংবিধান অনুযায়ী, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতেই নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হবে। কে হবেন নতুন রাষ্ট্রপতি, সেটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে যিনি শপথ নেবেন—আগামী সংসদ নির্বাচনের সময় তিনিই থাকবেন রাষ্ট্রপ্রধান।

সর্বশেষ - সকল নিউজ