logo
Wednesday , 28 December 2022
  1. সকল নিউজ

বিমানসহ সব বন্দরে করোনা টেস্ট নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

প্রতিবেদক
admin
December 28, 2022 9:20 am

আবারও করোনা কড়া নাড়ছে দ্বারে দ্বারে। চীন-ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনার নতুন ধরনের উপধরন বিএফ-৭ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিমানবন্দরসহ সব স্থল বন্দরে বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐ সব জায়গায় বহির্গমন ও নির্গমনের সময় করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে চীনসহ যেসব দেশে সংক্রমণ বেড়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের অবশ্যই পরীক্ষা করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন। জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও কোভিড বিধি কার্যকর করতেও মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত পরশু চার চীনা নাগরিককে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরীক্ষার পর তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ভারতের কেরালা রাজ্যে পুনরায় কোভিড বিধি বলবৎ করা হয়েছে। এখন বাংলাদেশে যাতে করোনার সংক্রমণ না বাড়ে সে বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বললেন সরকার প্রধান। ইতিমধ্যে  হাসপাতালগুলোকে করোনা মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে এই বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। মন্ত্রিসভায় একাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৩ সালের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে সংশোধন ও সংযোজন সাপেক্ষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বর ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস’ উদ্যাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, করোনার নতুন সংক্রমণ ছড়িয়েছে এখন পর্যন্ত চীনসহ চারটি দেশে। বাংলাদেশে যাতে এটা ছড়াতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মানুষকে মাস্ক পরানোসহ সামাজিক দূরত্ব যাতে মেনে চলে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

এছাড়া ‘নতুন বছরের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে সংসদ অধিবেশন শুরু হবে। সেখানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি একটি বক্তৃতা করবেন। বক্তৃতা করে তিনি উদ্বোধন করবেন। এটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সাংবিধানিক বাধ্যবধকতার অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্যটি রাখবেন সেটি মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত হতে হয়। সেটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বর ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘোষণা এবং দিবসটি উদ্যাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা বৈদেশিক কর্মসংস্থান এ বিষয়ক পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় প্রবাসী দিবস উদ্যাপান করা হবে। প্রথমবার সেজন্য হয়তো বেশি জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও দিবসটি উদযাপন করা হবে।

তিনি বলেন, প্রবাসী দিবস উদযাপনে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বর সরকারিভাবে প্রবাসী দিবসটি উদযাপনে পদক্ষেপ নেওয়া হলো। মন্ত্রিসভা জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘোষণা করেছে। অভিবাসী দিবসের পাশাপাশি ৩০ দিবস প্রবাসী দিবস সারা দেশে এমনকি সারা পৃথিবীতে যেখানে প্রবাসী ভাইবোনেরা রয়েছেন তাদের নিয়ে এ দিবসটি পালন করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ দিবসে প্রবাসীদের জন্য আমরা কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করছি, সেই বিষয়গুলো প্রচার-প্রচারণা হবে। ইতিমধ্যে ২১টি অনলাইন সেবা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ২১টি সেবা প্রবাসীরা দূতাবাস বা মিশন থেকে নিতে পারবে। সেই সঙ্গে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সুবিধাটা যদি থাকে। বিভিন্ন দেশের শ্রমিক হাবগুলোতে ডিজিটাল সার্ভিস করা হবে। সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সুবিধা থাকবে। যে ২১টি অনলাইন সেবা রয়েছে, সেগুলো কীভাবে প্রদান করা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হবে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ