আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ওরা পাগল হয়ে গেছে। ১০ ডিসেম্বর ওরা সুপারফ্লপ করে এখন বেপরোয়া কথাবার্তা বলছে। বিএনপি নেতারা বেপরোয়া চালকের মতো বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন।
কখন যে অ্যাকসিডেন্ট ঘটান, বলা মুশকিল।গতকাল মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোয়ার্টার ফাইনালে গোল দিয়েছি। সেমিফাইনালেও গোল দেব। ইনশাআল্লাহ ফাইনালেও আমরা জিতব। ফাইনাল মানে নির্বাচন। ’
জিয়াউর রহমানকে পঁচাত্তরের মাস্টারমাইন্ড উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী এনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা হবে না বলে আইন করেছেন তিনি। সেদিন যদি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হতো, তাহলে আরেকটি চক্র জিয়াউর রহমানকে হত্যার সাহস পেত না। ভাগ্যক্রমে পঁচাত্তরে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন। ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে। গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, মাতারবাড়ীতে বন্দর ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।
দলীয় নেতাদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিলের প্রয়োজন নেই। দলের নামে কেউ অপকর্ম করবেন না। মনে রাখবেন, সাধারণ মানুষ ভয়ে আপনাদের কিছু বলে না। কিন্তু মানুষ সব জানে ও বোঝে। ’
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দি, উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, জাফর আলম, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা প্রমুখ।
মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি যে হাত দিয়ে আক্রমণ করবে তা ভেঙে দিতে হবে, এটা শেখ হাসিনার কথা। বিএনপির সন্ত্রাস প্রতিহত করতে শেখ হাসিনার এই নির্দেশ মেনে চলতে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান তিনি।
মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা যত দিন সুস্থ থাকবেন, তত দিন জনগণের ভালোবাসা নিয়ে দেশকে এগিয়ে নেবেন, এই আস্থা রাখা যায়। দেশের মানুষের আস্থা আছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে আবারও বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় যাবেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
সম্মেলন উদ্বোধনের পর শোক প্রস্তাব পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাপস রক্ষিত, সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
সম্মেলনে মাহবুবউল আলম হানিফ কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি এবং মুজিবুর রহমানকে ফের সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরীকে দলের জাতীয় পরিষদ সদস্য ঘোষণা করেন। ফলে নির্ধারিত কাউন্সিল অধিবেশন আর হয়নি।