রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্ল্যাকার্ড ছোড়াছুড়ি করেন উভয়পক্ষের নেতাকর্মীরা।
ব্যক্তিগত শো-ডাউনকে কেন্দ্র করে সাবেক সংসদ সদস্য নাদিম মোস্তফার বক্তব্য চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় বারবার তাদের নিবৃত্ত করার নির্দেশ দিলেও মারামারি চলতে থাকে।
দুই পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। লাঠি ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে। একপর্যায়ে মাঠে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফা ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু মাইকে বারবার সংঘর্ষ থামাতে নির্দেশ দেন নেতাকর্মীদের। বেশ কিছুক্ষণ সংঘর্ষ চলার পর স্বাভাবিক হয় পরিবেশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও গণসমাবেশের সভাপতি অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা বলেন, ওরা কারা মারামারি করছিল তা বলতে পারবো না। মাঠের মাঝখানে মারামারি হয়েছে। ঠেলাঠেলিকে কেন্দ্র করে এই মারামারি হয়।
মারামারির ঘটনা নিয়ে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, নাদিম মোস্তফার বেয়াদব কর্মীরা মারামরি করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই এরকম অনভিপ্রেত ঘটনা আমাদের কাম্য ছিল না। দল যে এভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে তা দেখে সত্যিই বিব্রত কেন্দ্রীয় নেতারাও।
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক এ আরাফাত বলেন, বিএনপি আসলে কোনো সংগঠন নয়। এটা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আশ্রয়স্থল। তাদের দ্বারা এরকম সন্ত্রাস কার্যক্রম খুব স্বাভাবিক একটি বিষয়। এতে অবাক হবার কিছু নেই। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সামনেই এমন ঘটনা প্রমাণ করে যারা দল সামলাতে পারে না তারা দেশও সামলানোর যোগ্যতা রাখে না।