নাটোরে প্রতারণার মাধ্যমে নকল সোনার মূর্তি বিক্রির মূলহোতা অফিজ ও তার স্ত্রী রুপজানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
রোববার (২৭ নভেম্বর) রাতে সিংড়া উপজেলার আয়েশ গ্রামে অভিযান চালিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন-সিংড়া উপজেলার পিপিলসন গ্রামের মৃত খোরশেদ আলম প্রামাণিকের ছেলে রফিকুল ইসলাম অফিজ (৫০) এবং তার স্ত্রী রুপজান বেগম (৪৫)।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব জানায়, প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী নাটোরের লালপুর উপজেলার সালামপুর গ্রামের মহসিন আলীর ছেলে মো. তরিকুল ইসলাম (২৮)।
তিনি অভিযোগ করেন যে, গত মার্চ মাসে রাজশাহীর বাঘার শাহদোলা মাজার জিয়ারতের সময় প্রতারক চক্রের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয় এবং তার সঙ্গে মোবাইল নম্বর আদান প্রদান হয়। প্রতারক ভুক্তভোগীকে বিভিন্ন সময় ফোন দিয়ে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে একটি সোনার মূর্তি প্রতারক চক্রের সদস্যদের কাছ থেকে কিনেন ভুক্তভোগী। কিন্তু পরে জানতে পারেন মূর্তিটি নকল ছিল। এরপর ভুক্তভোগী তরিকুল রোববার র্যাবকে জানালে রাতেই সাতজনকে আটক করে।
র্যাব-৫, সিপিসি-২ নাটোর র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানি উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রতারক চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, পিপলশন দড়িপাড়া গ্রামের মো. মন্টু (৪০), মো. মুকুল (৪৪), মো. শফিকুল (৩০), মোহাম্মদ আলী (৪০), মো. জাহিদুল ইসলাম (৫৫) মো. রজিম আহম্মেদ (২২) এবং বগুড়ার শেরপুর থানার লাঙ্গল মোড়া গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮)। এসময় প্রতারক চক্রের মূলহোতা অফিজসহ চার সদস্য পালিয়ে যান। এরপর র্যাব তাদের গ্রেফতারে সক্রিয় ছিল। এরই অংশ হিসেবে গোপন খবরের ভিত্তিতে আয়েশ গ্রাম থেকে রফিকুল ইসলাম অফিজ ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, গ্রেফতাররা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সিংড়া থানায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেছেন।