কূটনৈতিক শিষ্টাচার না মানা বিদেশি কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সময় হলেই ‘অ্যাকশনে’ যাবে বাংলাদেশ।
গতকাল শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। আফগানিস্তান, ইরান, চিলির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, বিদেশিদের হস্তক্ষেপের কারণে অনেক দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদেশিরা সব সময় নিজেদের স্বার্থে কাজ করে।
উন্নত দেশগুলো বিদেশি দূতদের এক পয়সাও পাত্তা দেয় না।
কূটনীতিকরা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে কূটনৈতিক শিষ্টাচার ও আচরণবিধি মানছেন না বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে।
সরকার বিদেশিদের বক্তব্যকে পাত্তা দিচ্ছে কি না—সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার মতো দেশ তাদের গত নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ২০ থেকে ২১ জন কূটনীতিককে বের করে দিয়েছিল। এ ছাড়া আমেরিকার অভ্যন্তরীণ যেসব সংস্থা রাশিয়াকে সহযোগিতা করেছিল বলে তারা মনে করেছে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল।
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা শক্তিশালী দেশ হওয়ায় এসব পদক্ষেপ সহজেই নিতে পারে। তবে আমাদের সেই শক্তি কিংবা সামর্থ্য নেই। তাই আমরা এ পদক্ষেপ নিইনি। তবে সময় হলে আমরাও অ্যাকশনে যাব। ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন একটা রীতি হয়ে গেছে, এটা খুব দুঃখজনক। ’
মন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে, বিশেষ করে আমেরিকায় কোনো বিদেশি রাষ্ট্রদূতের এক পয়সাও পাত্তা নেই। ভারতে বিদেশিরা অনেক কথা বলে। কিন্তু তারা এগুলোকে পাত্তা দেয় না। যেসব দেশের সম্মান আছে, নেতৃত্বের সম্মান আছে, তারা বিদেশিদের কাছে গিয়ে কান্নাকাটি করে না।
বিদেশিদের কাছে ধরনা দেওয়া লোকদের নিজেদের দেশের প্রতি সম্মানবোধের ঘাটতি আছে—আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একই সঙ্গে মন্ত্রী বিদেশি কূটনীতিকদের ব্যাপারে গণমাধ্যমকে আরো পরিপক্ব হওয়ার আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :