দেশে বর্তমানে ক্যানসার চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ২২৮ জন, জনসংখ্যার তুলনায় যা অত্যন্ত অপ্রতুল। দেশে ৫ হাজার ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দরকার বলে জানান সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। তারা বলেছেন, বর্তমানে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের তালিকায় ক্যানসার রোগী সংখ্যার দিক দিয়ে প্রথম। তাই এই বিভাগে চিকিৎসক বাড়ানো সময়ের দাবি। কেননা, ক্যানসারসহ সব চিকিৎসাই সময় নিয়ে পরিকল্পনা মাফিক করা উচিত।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ নবীন-প্রবীণ সম্মেলন-২০২২ অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সোসাইটি অব রেডিয়েশন অনকোলজিস্টস (বিএসআরও) এই সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ক্যানসার চিকিৎসায় অসামান্য অবদানের জন্য ছয় জন চিকিৎসক (মরণোত্তর) ও আট জন ক্যানসার বিশেষজ্ঞকে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যানসার বিষয়ের ফ্যাকাল্টি মেম্বার যদি আমাকে সহযোগিতা করেন, তবে আমার ক্যাম্পাসেই আগামী সেশনে আসনসংখ্যা ১০ থেকে ১৫তে উন্নীত করব। উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের মানুষের প্রয়োজনে প্রতিটি জেলায় আইসিইউ সেবা নিশ্চিত করতে বয়সের বাধা তুলে দিয়ে স্বল্পতম সময়ে এনেসথেসিওলজিস্ট নিয়োগ দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট অনলাইনে দেওয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট অনলাইনে চালু করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ বলেন, একসময় বাংলাদেশের হূদেরাগীরা বিদেশে যেত। বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের তালিকায় প্রথম ছিল হূদেরাগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা। দেশে হূদেরাগের চিকিৎসায় অনেক উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে বিদেশে যাওয়া রোগীর তালিকায় হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা তৃতীয়। তবে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীরা এই তালিকায় প্রথম।