logo
Wednesday , 12 October 2022
  1. সকল নিউজ

বাংলাদেশ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে ডেভিড বার্গম্যান

প্রতিবেদক
admin
October 12, 2022 8:43 am

যাত্রাটা শুরু হয়েছিল আজ থেকে এক যুগ আগে, ২০১০ সালে। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সংগঠিত মানবাতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর প্রাক্কালে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি। যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধে উঠে পড়ে লাগে তাদের দেশি-বিদেশি দোসররা। সে সময় যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বন্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রচারণার জন্য পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের শরণাপন্ন হন। তখন আইএসআই ডেভিড বার্গম্যানকে এই দায়িত্ব দেন।

এই বার্গম্যানের আরেকটি পরিচয় হলো তিনি ড. কামল হোসেনের জামাতা। যে ড. কামাল বিরোধীদলীয় জোট বিএনপি-জামায়াতের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন।

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা- আইএসআই কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত বার্গম্যান বাংলাদেশে এসেই বনে যান যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী। আর তার পেছনে বিএনপি-জামায়াত ঢালতে থাকে কোটি কোটি টাকা। বার্গম্যান শুরু করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আক্রমণাত্মক অপপ্রচার। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একের পর এক বিতর্কিত ব্লগ লেখেন বিএনপি-জামায়াতের এই এজেন্ট।

জামায়াতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং বাংলাদেশ সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে যুদ্ধাপরাধ, নিরাপদ সড়ক, কোটা আন্দোলন, রোহিঙ্গার মতো ইস্যুতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আল-জাজিরাতেও সংবাদ প্রকাশ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়েও বিতর্কিত মন্তব্য করেছিল ড. কামালের এই জামাতা। যার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে দণ্ডিতও হয়েছেন তিনি।

তবুও ডেভিড বার্গম্যানের অপকর্ম থামেনি। এখনও পূর্ণকালীন সময়ে বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং জামায়াতের বেতনভুক্ত কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন তিনি। বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করতে দেশবিরোধী বিভিন্ন বানোয়াট সংবাদ তৈরি, সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে অপপ্রচার করাই তার মূল উদ্দেশ্য।

তাহলে একটু ভেবে দেখুন তো- কোনো ভালো মানুষের পক্ষে কি ভয়ংকর অপরাধীদের বাঁচানোর মিশন নিয়ে কাজ করা সম্ভব? অবশ্যই না।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তাদের নিয়োগকৃত এজেন্ট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে, এটাই তো স্বাভাবিক। এই দেশবিরোধী এজেন্টকে সর্মথন জানাবেন, নাকি ঘৃণাভরে তিরস্কার করবেন- সিদ্ধান্ত আপনার।

সর্বশেষ - সকল নিউজ