logo
Wednesday , 12 October 2022
  1. সকল নিউজ

যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু

প্রতিবেদক
admin
October 12, 2022 8:43 am

নারায়ণগঞ্জের সদর ও বন্দর উপজেলাকে সংযুক্ত করা তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু উদ্বোধন হয়েছে গতকাল সোমবার (১০ অক্টোবর)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমানের নামে নামকরণ করা সেতুটির উদ্বোধন করেন। সেতুটি নারায়ণগঞ্জের পাশাপাশি দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন হয়েছে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যানবাহন ও যাত্রীরা যাত্রাবাড়ী-পোস্তগোলা ব্রিজ হয়ে অথবা চাষাঢ়া -সাইনবোর্ড রুটে চট্টগ্রামে যান। এখন শীতলক্ষ্যা সেতু দিয়ে যানবাহনগুলো ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ শহরকে বাইপাস করে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। এতে রাজধানী ও নারায়ণগঞ্জ শহরের ওপর চাপ কমবে, তীব্র যানজটের ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

তারা আরও জানান, নারায়ণগঞ্জের মানুষ নদীর ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্ব নৌকায় পার হতে অনেক সময় লেগে যেতো। এ জন্য দূরত্ব অনুযায়ী গুনতে হতো টাকাও। এছাড়া সড়ক পথে গেলে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ঘুরতে হতো। এখন নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জের মানুষ শীতলক্ষ্যার এই সেতু দিয়ে অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, সেতুটি পূর্বে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জকে পশ্চিমে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সৈয়দপুরের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। এর ফলে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ জেলার সঙ্গে পদ্মা সেতুর সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। আগে নৌকায় করে নদী পথে চলাচল করতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এক্ষেত্রে সেতুটি স্থানীয়দের জন্য নিরাপদ যোগাযোগ নিশ্চিত করবে। এছাড়া সেতুটি উদ্বোধনের পর দেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে চাঙা হবে।

এদিকে সেতুর প্রকল্প পরিচালক শোয়েব আহমেদ জানান, ১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬০৮ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা। এরমধ্যে সরকার দিয়েছে ২৬৩ দশমিক ৩৬ কোটি টাকা। বাকি ৩৪৫ দশমিক ২০ কোটি টাকা সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের (এসএফডি)। প্রকল্পটি ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদন পায়। নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি।

ওয়াকওয়েসহ সেতুটিতে ৩৮টি স্প্যান রয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি নদীতে এবং ৩৩টি পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে। হাঁটার পথসহ সেতুটির প্রস্থ ২২ দশমিক ১৫ মিটার। এছাড়া, ছয় লেনের টোল প্লাজা এবং দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ রোডও নির্মাণ করা হচ্ছে। ছয় লেনের টোল প্লাজায় সর্বনিম্ন গুনতে হবে ৫ টাকা, আর সর্বোচ্চ ৬২৫ টাকা।

স্থানীয়রা বলছেন, শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দর উপজেলাকে সংযুক্ত করায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্ত আসবে। আগে নৌযানে করে নদী পার হতে হতো। তাতে অর্থ ও সময় অপচয় হতো, ভোগান্তি তো ছিলই। ঢাকার পার্শ্ববর্তী এই জেলায় প্রচুর কলকারখানা থাকায় অর্থনীতিও চাঙা হবে। তবে সেতুটির দুই পাশের সড়কের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ শেষ হলে পুরোপুরি সুফল মিলবে।

আবুল হাসেম নামের এক কর্মজীবী বলেন, প্রতিদিন নৌকায় নদী পার হতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বর্ষাকালে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়। সেতু হওয়ায় এখন এসব থেকে মুক্তি পাবো।

ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, নৌকায় মালামাল বহন করতে হতো। যানজট আর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার ঝামেলা তো ছিলই। এসব থেকে রক্ষা পাবো এখন। এই সেতু অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখবে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে সংলাপের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির শঙ্কা, আগামী সপ্তাহে শীতের প্রকোপ বাড়বে

বরখাস্ত কর্নেল শহীদ, বহুমূখী অপরাধীর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। পর্ব – ৪

নিবন্ধনের জন্য ইসিতে আবেদন বিডিপি নামে নতুন দলের পেছনে জামায়াত

পঁচাত্তরপরবর্তী সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে এবার: প্রধানমন্ত্রী

সীমান্তে মানুষ হত্যা ভারতের জন্য লজ্জাজনক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জোট ছাড়ার বিষয়ে বিএনপিতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জামায়াত আমিরের বক্তব্যে তোলপাড়

প্রধানমন্ত্রী ‘সেরা কূটনীতিক বঙ্গবন্ধু পদক’ প্রদান করবেন বৃহস্পতিবার

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পলাতক আসামিরা কে কোথায়?

পদ্মা সেতুর আয় ছাড়াল ৭০০ কোটি