কক্সবাজার শহরের কলাতলীতে একটি জঙ্গি মামলায় পরোয়ানা ভুক্ত আসামি নুরুল আবছার হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে কলাতলীর হোটেল-মোটেল জোন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হলেও রবিবার (৯ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমকে অবহিত করেছে র্যাব সূত্র। ধৃত নুরুল আবছার হাওলাদার (৪০) সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাহুনিয়া গ্রামের আক্কাছ আলী হাওলাদার ও হাছিনা বেগম দম্পত্তির ছেলে। তিনি ২০১৫ সালে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও হাটহাজারী থানার দুটি মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী এবং আদালত তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি রয়েছে বলে র্যাব সূত্র দাবী করেছে।
র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো.বিল্লাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আবছার সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সন্দেহভাজন কর্মকান্ডের জন্য পুলিশের কাছে গ্রেফতার হয়ে ১ মাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়। পরে তিনি শীর্ষস্থানীয় এক জঙ্গী নেতার পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রাম এলাকায় নবগঠিত জঙ্গি সংগঠন শহীদ হামজা ব্রিগেডের সাথে যুক্ত হন। এরপর হাটহাজারীতে অবস্থিত মাদ্রাসাতুল আবু বক্কর (রা.) এ রিক্রুট ট্রেনিং সেন্টারের হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সাথে তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আনা নেয়ার সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করতেন। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষাসহ প্রশিক্ষণ ও অর্থ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমস্ত রিপোর্ট প্রেরণ করতো। এরপরে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে হাটহাজারি ও বাঁশখালীতে তাদের গোপন আস্তানায় র্যাবের অভিযানে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ২৪ জনকে গ্রেফতার করে। তখন আবছার ঢাকায় অবস্থান করায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পরে তিনি পালিয়ে পাশের দেশে আত্নগোপন করেন। সেখান থেকে শীর্ষস্থানীয় এক নেতার পরামর্শে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে যান।
র্যাবের পাঠানো তথ্যমতে, দীর্ঘ ৬ বছর বিদেশে অবস্থান করার পর বছর খানেক আগে তিনি দেশে ফিরে ঢাকায় আত্মগোপন করেন। বিদেশ থেকে দেশে আসার পর তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনায় আমির হামজা ব্রিগ্রেডকে পুনরায় সংগঠিত করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় তার তৎপরতা শুরু করেন। এরই প্রেক্ষিতে কিছুদিন ধরে তিনি কক্সবাজারে অবস্থান করছিলেন।