logo
Thursday , 8 September 2022
  1. সকল নিউজ

যৌথ বিবৃতি ট্রানজিট সুবিধা দিল ভারত

প্রতিবেদক
admin
September 8, 2022 8:25 am

তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছে ভারত। এ জন্য ভারত কোনো মাসুল নেবে না। তবে এ জন্য নির্দিষ্ট বন্দর বা স্থল কাস্টম ব্যবহার করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার প্রকাশিত দুই দেশের ৩৩ দফা যৌথ বিবৃতিতে বিষয়টি স্থান পেয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনতে উভয় পক্ষের কাজ করার অঙ্গীকার রয়েছে। শীর্ষ বৈঠকে বাংলাদেশ দ্রুত তিস্তা সই করতে ভারতকে তাগিদ দিয়েছে। ভারত তাগিদ দিয়েছে ফেনী নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সইয়ের জন্য।

২০১১ সালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। ভারত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে অভ্যন্তরীণভাবে একমত হতে পারেনি। বাংলাদেশও ফেনী নদী নিয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারত রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা সহযোগিতা, প্রতিরক্ষা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য ও সংযোগ, পানিসম্পদ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন, সাইবার নিরাপত্তা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি), মহাকাশ প্রযুক্তি, শক্তি এবং সমুদ্র অর্থনীতির মতো সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে।

দুই দেশের শীর্ষ নেতারা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক স্বার্থের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন। কভিড-১৯ মহামারির প্রভাব এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধার কথা মাথায় রেখে শীর্ষ নেতারা এই অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য বন্ধুত্ব ও অংশীদারির চেতনায় বৃহত্তর সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

সংযোগে জোর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় এবং উপ-আঞ্চলিক রেল, সড়ক এবং অন্যান্য সংযোগ উদ্যোগ বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেন। ভারত বাংলাদেশকে ট্রেনের ২০টি ব্রডগেজ ডিজেল লোকোমোটিভ দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। বাংলাদেশ একে স্বাগত জানিয়েছে।

খাদ্যপণ্য নির্বিঘ্নে সরবরাহের আশ্বাস

বাংলাদেশ ভারত থেকে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ‘অনুমানযোগ্য সরবরাহের’ (বিঘ্নিত হলে আগেভাগে জানানো) জন্য ভারতীয় পক্ষকে অনুরোধ করেছিল। ভারত বলেছে, তার বিদ্যমান সরবরাহের শর্তের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অনুরোধগুলো অনুকূলভাবে বিবেচনা করা হবে এবং সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হবে।

সীমান্তে মৃত্যু কমায় সন্তোষ

দুই নেতা সীমান্তের শূন্যরেখার ১৫০ গজের মধ্যে মুলতবি থাকা সব উন্নয়নমূলক কাজ ত্বরান্বিত করতে একমত হয়েছেন। এর মধ্যে ত্রিপুরা সীমান্তে বেড়া উল্লেখযোগ্য। উভয় পক্ষ সীমান্তে মৃত্যুর ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। উভয় পক্ষই সীমান্তে মৃত্যুর সংখ্যাটি শূন্যে নামিয়ে আনতে কাজ করবে।

দুই দেশ অস্ত্র, মাদকদ্রব্য ও জাল মুদ্রার চোরাচালানের বিরুদ্ধে এবং বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পাচার রোধে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ক্রমবর্ধমান প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে। উভয় নেতাই সব ধরনের সন্ত্রাস নির্মূল করার জন্য তাঁদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে সন্ত্রাসবাদ, সহিংস চরমপন্থা এবং মৌলবাদের বিস্তার প্রতিরোধে তাঁদের সহযোগিতা আরো জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেন।

কুশিয়ারার এমওইউকে স্বাগত

উভয় পক্ষ কুশিয়ারা নদী থেকে পানি উত্তোলনে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরকে স্বাগত জানিয়েছে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটি বাংলাদেশকে তার সেচের চাহিদা মেটাতে এবং দক্ষিণ আসামের জন্য জল প্রকল্পগুলো সহজতর করতে সাহায্য করবে।

ভারত তার ত্রিপুরা রাজ্যের জরুরি সেচের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নিয়ে ফেনী নদীর ওপর অন্তর্বর্তী পানিবণ্টন চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষর করতে চায়। বাংলাদেশ তা শুনেছে। ত্রিপুরার সাব্রুম শহরে পানীয় জল সরবরাহের জন্য ফেনী নদী থেকে ১.৮২ কিউসেক পানি প্রত্যাহারে ২০১৯ সালে এমওইউ বাস্তবায়নে ‘ইনটেক ওয়েল’ নির্মাণে সম্মতির জন্য বাংলাদেশকে ভারত ধন্যবাদ জানিয়েছে।

তিস্তার জন্য তাগিদ

যৌথ বিবৃতিতে ১৯৯৬ সালের গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে পাওয়া পানির সর্বোচ্চ ব্যবহার বিষয়ে সমীক্ষার জন্য কারিগরি কমিটি গঠনকে স্বাগত জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতীতের আলোচনার কথা স্মরণ করে ২০১১ সালে চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সই করার জন্য ভারতকে তাগিদ দেন।

এ বিষয়ে ভারত কী বলেছে তা বিবৃতিতে উল্লেখ নেই। তবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম গত মঙ্গলবার শীর্ষ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের বলেছেন, তিস্তা চুক্তি এখনো আশ্বাসের পর্যায়েই আছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নদীগুলোর দূষণের মতো সমস্যাগুলো মোকাবেলা করা এবং নদীর পরিবেশ ও নাব্যতা ঠিক রাখতে উভয় নেতা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি আসবে

উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর চেতনায় দুই নেতা কাটিহার (বিহার) থেকে বোরনগর (আসাম) পর্যন্ত প্রস্তাবিত উচ্চ ক্ষমতার ৭৬৫ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনসহ দুই দেশের পাওয়ার গ্রিডগুলো একযোগে সংযুক্ত করার প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছেন।

ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানির সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। ভারত বলেছে, তারা এরই মধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।

উভয় পক্ষ ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেছে। বাংলাদেশ ভারতের কাছে জ্বালানি তেল চেয়েছে। ভারত এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আলোচনায় সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে। জ্বালানি তেল সরবরাহকারী হিসেবে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে ভারত স্বাগত জানিয়েছে।

বন্দর ও নৌপথের ব্যবহার বাড়বে

দুই নেতা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের চুক্তির অধীনে ‘ট্রায়াল রানের’ সফল সমাপ্তিকে স্বাগত জানান। শিগগিরই এই চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়নের ব্যাপারে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন। ভারতীয় পক্ষ তৃতীয় দেশের এক্সিম কার্গো অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ২০১৫ সালের দ্বিপক্ষীয় উপকূলীয় শিপিং চুক্তির সম্প্রসারণে কাজ করার অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে।

উভয় পক্ষ দুই দেশের মধ্যে সরাসরি শিপিং সংযোগ দ্রুত অন্বেষণ করতে সম্মত হয়েছে। তারা অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন ও বাণিজ্য (পিআইডাব্লিউটিটি) রুটে ৫ ও ৬ (ধুলিয়ান থেকে রাজশাহী-আরিচা পর্যন্ত সম্প্রসারণ) এবং ৯ ও ১০ (দাউদকান্দি থেকে সোনামুড়া) রুটে প্রটোকলের অধীনে নদী পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে।

বিবিআইএনকে ত্বরান্বিত করতে সম্মতি

দুই নেতা বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল (বিবিআইএন) মোটরযান চুক্তির প্রাথমিক কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় এবং উপ-আঞ্চলিক সংযোগ উন্নত করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করতে রাজি হন। ভারত পশ্চিমবঙ্গের হিলি থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জ পর্যন্ত একটি মহাসড়কসহ নতুন উপ-আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্প শুরু করতে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে। এ বিষয়ে একটি বিশদ প্রকল্প প্রতিবেদন তৈরির প্রস্তাব করা হয়েছে।

একই চেতনায় ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক প্রকল্পের চলমান উদ্যোগে বাংলাদেশ অংশীদার হওয়ার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাড়ল

ভারত তার ভূখণ্ড ও অবকাঠামো ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে (বাংলাদেশ ও ভারত ছাড়া অন্য কোনো দেশ) পণ্য রপ্তানির জন্য বিনা মাসুলে ট্রানজিট, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রস্তাব করেছে। ০ এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তৃতীয় দেশে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বন্দর অবকাঠামো ব্যবহার করতে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানির জন্য ভারত বাংলাদেশকে বিনা মাসুলে ট্রানজিট সুবিধা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সদ্য উদ্বোধন হওয়া চিলাহাটি-হলদিবাড়ী রুটের মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ভারতীয় পক্ষ এর কার্যকারিতা এবং সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে অনুরোধটি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে। এটি এবং অন্যান্য আন্ত সীমান্ত রেল সংযোগগুলো কার্যকর করতে ভারত বাংলাদেশকে চিলাহাটি-হলদিবাড়ী ক্রসিংয়ে বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছে।

বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ, সেপার জন্য নির্দেশনা

দুই নেতা সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারি চুক্তির (সেপা) লক্ষ্যে এ বছরই আলোচনা শুরু করতে উভয় পক্ষের বাণিজ্যবিষয়ক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহজীকরণের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে তাঁরা স্থল শুল্ক স্টেশন/স্থল বন্দরে অবকাঠামো ও সুবিধা উন্নীত করার ওপর জোর দেন। এ ছাড়া তাঁরা শুল্ক ও অশুল্ক বাধাগুলো দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর বাজার সুবিধার জন্য আখাউড়া-আগরতলা সমন্বিত চেকপোস্টসহ কোনো একটি বন্দর বিধি-নিষেধবিহীন রাখার অনুরোধ পুনর্ব্যক্ত করেছে। বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের সমন্বিত চেকপোস্টের দ্বিতীয় গেটের উন্নয়নে ভারতের তহবিল দেওয়ার প্রস্তাবকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। দ্রুত ওই গেটের কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আশ্বাস

ভারত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেছে। এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত লোকদের তাদের স্বদেশে নিরাপদ, টেকসই এবং দ্রুত প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়কেই সহযোগিতা করতে ভারত অব্যাহত প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়েছে। ভারতই একমাত্র দেশ যে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার—উভয়ের প্রতিবেশী।

আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্ব

উভয় পক্ষ আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে শক্তিশালী আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। ভারতীয় পক্ষ বিমসটেক সচিবালয় এবং এর অবকাঠামো উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেছে। ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) সভাপতি হিসেবে ভারতীয় পক্ষ বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

মুক্তিযুদ্ধের বিরল ভিডিও ফুটেজের যৌথ সংকলন

উভয় নেতা বঙ্গবন্ধুর ওপর যৌথভাবে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘মুজিব : দ্য মেকিং অব এ নেশন’ যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি দেওয়ার অপেক্ষার কথা জানান। তাঁরা মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত ঐতিহাসিক ‘স্বাধীনতা সড়ক’-এর কার্যক্রম পরিচালনা, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি ডকুমেন্টারি নির্মাণসহ অন্যান্য উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে সম্মত হন।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরল ভিডিও ফুটেজের যৌথ সংকলনেরও প্রস্তাব করা হয়। ভারত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠার প্রশংসা করেছে।

অন্যান্য

উভয় পক্ষ প্রতিরক্ষা খাতে নিবিড় ও ক্রমবর্ধমান সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া রেল, সড়ক, বিমান ও নদীসম্পর্কিত যোগাযোগ পুনরায় চালু হওয়ায় তারা সন্তোষ প্রকাশ করে।

শীর্ষ নেতারা ‘সুন্দরবন সংরক্ষণ’ বিষয়ে ২০১১ সালের সমঝোতা স্মারকের কার্যকর বাস্তবায়নে জোর দিয়েছিলেন বলে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়। উভয় পক্ষই সহযোগিতার নতুন এবং উদীয়মান ক্ষেত্রগুলোর সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে।

দুই দেশ মহাকাশের শান্তিপূর্ণ ব্যবহার, সবুজ শক্তি, পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার এবং প্রযুক্তি সক্ষম করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ