logo
Wednesday , 31 August 2022
  1. সকল নিউজ

তিস্তার তীব্র ভাঙনে বিলীন হচ্ছে উলিপুরের ঘরবাড়ি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

প্রতিবেদক
admin
August 31, 2022 8:38 am

কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে গত ২৪ ঘণ্টায় কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, ঈদগাহ মাঠ, ব্র্যাক প্রি-প্রাইমারি স্কুল, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ ৬০ পরিবারের বসতভিটা, আবাদি জমি ও আধা কিলোমিটার পাকা সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সরেজমিনে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত পশ্চিম বজরা, সাদুয়া দামার হাট, সাতালস্কর, কালাপানি বজরা এলাকায় দেখা যায়, ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষজন তাদের শেষ সম্বল ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।পশ্চিম বজরা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, রঞ্জু মিয়াসহ অনেকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পশ্চিম বজরা কমিউনিটি ক্লিনিক, পশ্চিম বজরা জামে মসজিদ, পশ্চিম বজরা হাট, পশ্চিম কালাপানি বজরা জামে মসজিদসহ একটি ঈদগাহ মাঠ, ব্র্যাক প্রি-প্রাইমারি স্কুল, পুরাতন বজরা কালীমন্দিরসহ ১০ একর আবাদি জমি ও বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে থাকা পশ্চিম বজরা দাখিল মাদ্রাসা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাঙনে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, উপজেলার বজরা ইউনিয়নের পশ্চিম বজরা, সাদুয়া দামার হাট ও কালাপানি বজরা গ্রামের ৬০ পরিবার।

পশ্চিম বজরা গ্রামের বাসিন্দা মোজাম্মেল, রোস্তম আলী, সাইফুল ও গোলাম রব্বানীসহ ভুক্তভোগীরা জানান, গত বছর থেকে এসব এলাকায় ভাঙন শুরু হলেও কর্তৃপক্ষ ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নেয় নি। ফলে এ বছর ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। গত এক মাসের ব্যবধানে দুই শতাধিক পরিবারের বসতবাড়িসহ আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে সাতালস্কর গ্রামটি নদীগর্ভে সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়ে গেছে।

পশ্চিম বজরা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও. রেফাকাত হোসেন বলেন, তিলে তিলে গড়া এ প্রতিষ্ঠান চোখের সামনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর দাবি, রিলিফ চাই না, ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা চাই। বজরা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম সরদার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে ভাঙনের বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করলেও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল কুমার বলেন, ভাঙনের বিষয়টি কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙনের তীব্রতার কারণে আপত্কালীন প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়। তবুও আমরা কাজ করছি। ভাঙন রোধে প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে স্থায়ীভাবে ভাঙন রোধে কাজ শুরু করা হবে।

শিবগঞ্জে এক মাসের ভাঙনে গৃহহীন ২৫০ পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি ও শিবগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, পদ্মার ভাঙনে গত ২৫ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের দক্ষিণ পাঁকা গ্রামের ২৫০ পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনাও বিলীন হয়েছে। পাঁকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক জানান, পদ্মার ভাঙনে বিশেষ করে দক্ষিণ পাঁকার মানুষ দিশেহারা হয়ে গেছে। পাউবোর চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ময়েজ উদ্দিন জানান, ভাঙনকবলিত এলাকার জন্য স্থানীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব নয়। তবে অস্থায়ীভাবে জরুরিভিত্তিতে জিও টিউবের মাধ্যমে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ