logo
Monday , 22 August 2022
  1. সকল নিউজ

জুলকারনাইন সামি: এক পরিচিত দেশদ্রোহীর নাম!

প্রতিবেদক
admin
August 22, 2022 9:37 am

কখনও সায়ের জুলকারনাইন, আবার কখনও পরিচয় দিয়ে থাকে সায়ের খান, একের পর এক নাম বদলের সাথে সাথে প্রতারণাসহ অগণিত অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে যে ছেলেটি সেই ছেলেটিই আল জাজিরার ডকু ফিল্মের মূল চরিত্র সামি। তার প্রকৃত নাম সামিউল আহমেদ খান। ছোটবেলায় মাকে হারানোর পর চুরি ও প্রতারণামূলক অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে বদলে ফেলে মায়ের রাখা নাম ‘তানভীর মোহাম্মদ সাদাত খান’।

যে সামি নামেই বন্ধুমহলে বেশি পরিচিত। মাদকাসক্তির অভিযোগে মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কার হয়েছিল প্রাক্তন ক্যাডেট জুলকারনাইন সায়ের খান। যার জীবনের পেছনের পাতা উল্টালে-ই বেরিয়ে আসবে একের পর এক কেলেঙ্কারি আর অসামাজিক কার্যকলাপের চিত্র। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মার বখে যাওয়া সন্তান এই জুলকারনাইন খান ওরফে সামি। বাবা-মার অবাধ্য এই সন্তান নিজের স্বার্থের জন্য বাবার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করতো না বলে জানা যায়। বাবা-মার বখে যাওয়া সেই নষ্ট সামি গত চার বছর ধরে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার পেইড এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, কখনো হাঙ্গেরিতে কখনো বা লন্ডনে।

জানা যায়, মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কার হবার জন্য সেনাবাহিনীর উপর ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ ছিল সামির। সেই ক্ষোভ থেকেই দেশের বাহিরে বাংলাদেশ বিরোধী একটি চক্র গড়ে তুলে সে। সেই চক্রের মাধ্যমে দেশ বিরোধী অপশক্তির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি মিডিয়াতে অপপ্রচার চালায় এই কুলাঙ্গার। বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকার ও তার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করে মিথ্যাচার করে বেড়ায় তার প্রোপাগাণ্ডা সেল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে বিশ্বের সামনে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করাও এই সেলের অন্যতম কাজ। আন্তর্জাতিক মাফিয়াদের সাথে হাত মিলিয়ে সামির টিম বহিঃর্বিশ্বের কাছে দেশের সম্মানহানি করছে। যা এখন সর্বমহলে স্বীকৃতি।

জুলকারনাইন সামির প্রসঙ্গে তার সহপাঠী সাইফ এম ইশতিয়াক হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, যতটুকু জানতে পেরেছি সামি বিদেশে বসবাস করছে পরিবার নিয়ে। তবে আলজাজিরার প্রতিবেদন দেখেই জানতে পেরেছিলাম সামি পুরোপুরি দেশদ্রোহীদের দলে নাম লিখিয়েছে। অর্থের লোভে সামি সবই করতে পারে এটা বন্ধুমহলের সবাই জানে। জুলকারনাইন আমার ছোট বেলার স্কুলের ক্লাসমেট। সামি এক্স ক্যাডেট। ক্লাস এইটে তাকে ক্যাডেট থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল ডিসিপ্লিন ভঙ্গের কারণে। সৎ মায়ের সংসারে সামি বখে যেতে শুরু করে। সে ঢাকায় থাকতে তার বাবার সেনা ইউনিফর্ম পরে নিজেকে সেনা অফিসার পরিচয় দিয়ে একটি মেয়েকে পটিয়ে পরে পালিয়ে বিয়েও করে।

ইশতিয়াক হোসাইন বলেন, এই এডিক্টেড ছেলে টাকার জন্য অনেক কিছুই করতে পারে। তার মত ছেলের রেফারেন্স দিয়ে কোনো তথ্য মিডিয়ায় বের হলে সেটা মানুষের বিশ্বাস করার কোন মানেই আমি দেখি না। মানুষ কতটা বিকৃত মস্তিষ্কের হলে কতটা বিপথগামী হলে বিদেশে বসে নিজের মাতৃভূমির বিরুদ্ধে বাজে কথা ছড়াতে পারে সেটা সামিকে না দেখলে হয়তো জানতেও পারতাম না। দ্রুত এই দেশদ্রোহীকে আইনের আওতায় আনা উচিত বলেই আমি মনে করি।

সর্বশেষ - সকল নিউজ