logo
Thursday , 28 July 2022
  1. সকল নিউজ

নিম্নমানের হেলমেটের ছড়াছড়ি, মানা হচ্ছে না বিএসটিআই’র নীতিমালা

প্রতিবেদক
admin
July 28, 2022 9:27 am

১০ বছর আগেও দেশে মোটরসাইকেল ছিল সাড়ে সাত লাখ। ২০২১ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ লাখেরও বেশি। ফলে রাজধানীসহ সারাদেশে সড়কে মোটরসাইকেলের চাপ আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে। সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানিও। দুর্ঘটনা ঘটলেও মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের নিরাপত্তার জন্যই হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করে ২০১৮ সালে আইন করেছে সরকার। অথচ চালকরা যেসব হেলমেট ব্যবহার করছেন, তার ৮৯ শতাংশই অনিরাপদ ও পুরোপুরি মানসম্মত নয়। হেলমেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজেদের নিরাপত্তার চেয়ে চালকরা পুলিশি ঝামেলা এড়ানোকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। ফলে শুধুই আইন রক্ষার তাগিদে হেলমেট পরছেন অধিকাংশ চালক। রাইড শেয়ারিংয়েও দেখা যায় একই চিত্র।

আইন করে হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হলেও দেশে মানসম্মত ও নিরাপদ হেলমেটের ব্যবহার কম। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) বাধ্যতামূলক মান পরীক্ষার তালিকায় যে দুই শতাধিক পণ্য রয়েছে, তার মধ্যে হেলমেট একটি। ফলে নির্ধারিত মান অনুযায়ী হেলমেটের উৎপাদন ও আমদানি হওয়ার কথা। তিন স্তরবিশিষ্ট হেলমেটে বিএসটিআইয়ের মানচিহ্নও থাকার কথা। তবে সড়কে চলাচল করা মোটরসাইকেলের অধিকাংশ চালক মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার করছেন না। নিম্নমানের হেলমেট আমদানিতে বিএসটিআই নিষেধাজ্ঞা দিলেও দেদারসে তা আমদানি করছে প্রতিষ্ঠানগুলো।

মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। আমদানিকারকদের বার বার সতর্ক করেছি আমরা। এখন নিম্নমানের হেলমেট আমদানির আর সুযোগ নেই। যেগুলো আগেই আমদানি করা হয়েছে, সেগুলো নিয়মিত অভিযানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের জেল-জরিমানাও করছি। নীতিমালা পাস হওয়ার পরও একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তারপরও যদি কেউ মানহীন হেলমেট আমদানি করে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না

আমদানিকারকরা বলছেন, ভালো মানের হেলমেটের পাশাপাশি নিম্নমানের হেলমেটও আমদানি করা হয়। কারণ বাজারে নিম্নমানের হেলমেট বেশি বিক্রি হয়। সম্প্রতি বিএসটিআই হেলমেটের মান নিশ্চিতে নীতিমালা করলেও আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করেনি। ফলে আমদানি করা অনেক হেলমেট বন্দরে আটকে রেখেছে সংস্থাটি।

বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, নিম্নমানের হেলমেট আমদানি না করতে আমদানিকারকদের বার বার সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নীতিমালা প্রণয়নের আগে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের পরামর্শও নেওয়া হয়েছে। বাজারে যতই চাহিদা থাকুক, নিম্নমানের হেলমেট আমদানির সুযোগ নেই।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিএসটিআইকে হেলমেটের গুণগত মান যাচাইয়ের কাজ আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। শুধু দায় এড়ানোর জন্য দু-একটা অভিযান চালালে হবে না। কঠোর মনিটরিং করলেই বাজারে নিম্নমানের হেলমেট কমে যাবে। পাশাপাশি ক্রেতাদেরও সচেতন হবে। একটু খরচ বেশি হলেও তিন স্তরবিশিষ্ট হেলমেট কিনতে হবে।

বিএসটিআই হেলমেটের গুণগত মান যাচাইয়ের কাজ যদি ভালোভাবে মনিটরিং করে, তাহলে বাজারে নিম্নমানের হেলমেট কমে যাবে। চালক ও আরোহীদেরও হেলমেট কেনার ক্ষেত্রে ভালো মানের হেলমেট কেনা দরকার। হেলমেট কেনার ক্ষেত্রে অন্তত এটা দেখা দরকার যে, একটি হেলমেটের তিনটি পার্ট যেন থাকে। পেঁয়াজের খোসায় যেমন পার্ট থাকে, ঠিক ভালো মানের হেলমেটের তিনটি পার্ট (স্তর) আছে। প্রতিটি পার্ট চালক ও আরোহীদের বিভিন্নভাবে রক্ষা করে

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮-এর ৯২ (১) ধারায় বলা আছে, ‘মোটরযান চলাচলের সময় হেলমেট ব্যবহার না করলে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’ তবে হেলমেট ব্যবহার না করলে আইনে একাধিক শাস্তির কথা উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে শুধু জরিমানা করা হচ্ছে বেশি। এছাড়া আইনে হেলমেট ব্যবহার না করার বিষয়ে জরিমানার বিধান থাকলেও মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারের ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। ফলে মানসম্মত হেলমেট ব্যবহারে অনীহা চালকদের।

আইনে কিছু বলা না থাকায় চালকরা সুযোগ বুঝে ‘অজুহাত’ দেখাচ্ছেন। তারা বলছেন, মানসম্মত হেলমেট কিনতে বেশি খরচ হয়। অথচ প্রায়ই হেলমেট চুরি হয়। আবার ভারী হেলমেট ব্যবহারে অতিরিক্ত গরম লাগে। কম দূরত্বে চলাচলে এমন হেলমেট ব্যবহার করা কষ্টসাধ্য। ফলে তারা কম দামের হেলমেট কেনা এবং ব্যবহারে ঝুঁকছেন।

চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে কম দামের হেলমেট কিনি। একটা চুরি হলেও আরেকটা কিনে নিতে পারি। দেখা গেলো, বেশি দামে কিনলাম কিন্তু সেটা চুরি হয়ে গেলো। তখন নতুন আরেকটা কেনা কষ্টসাধ্য। আবার না কিনতে পারলে বাইক নিয়ে বের হতেও পারবো না। কারণ হেলমেট না পরলে এক হাজার টাকার মামলা দেবে। এজন্য হেলমেট একটা থাকলেই হলো, ভালো-খারাপ বুঝি না

আন্দোলনের পর বেড়েছে হেলমেটের ব্যবহার

২০১৮ সালে নিরাপদ সড়কের দাবিতে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে ট্রাফিক পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে রাজধানীসহ সারাদেশে মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের মধ্যে হেলমেট ব্যবহার বেড়েছে। আগে যেখানে আরোহীর মাথায় হেলমেট দেখাই যেতো না, এখন বেশির ভাগ আরোহী হেলমেট পরছেন।

বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্র (এআরআই) ঢাকায় মোটরসাইকেলচালক ও আরোহীদের হেলমেট ব্যবহার বিষয়ে যৌথ গবেষণা করেছে। ২০২১ সালে করা ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকা শহরে চলাচল করা মোটরসাইকেলের ৯৮ শতাংশের চালক ও আরোহী হেলমেট ব্যবহার করেন। তবে ফুল ফেস ক্লোজড অর্থাৎ মুখমণ্ডল ও মাথা ঢাকা হেলমেট ব্যবহার করেন ৮ শতাংশ চালক ও আরোহী। ওপেন ফেস বা হ্যাট ধরনের হেলমেট পরেন ২৪ শতাংশ। আর হাফ ফেস হেলমেট পরেন ৬৫ শতাংশ চালক। অর্থাৎ অনিরাপদ ও পুরোপুরি মানসম্মত নয় এমন হেলমেট পরেন ৮৯ শতাংশ চালক। তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশ চালক শুধু পুলিশের ঝামেলা এড়াতে এবং মামলা থেকে বাঁচতে হেলমেট পরেন।

বাজারে নিম্নমানের হেলমেটের ছড়াছড়ি

দেশের বাজারে ইয়ামাহা, রিপ্লে, ইয়োহি, এসটিএম, এসএফএম, এমবিকে, স্টিলবার্ড, এটলাস, হিরো, স্টুডাসসহ বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ডের হেলমেট বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে কম দামের মানহীন হেলমেটের ছড়াছড়ি। রাজধানীর বাংলামোটর, বংশালসহ বিভিন্ন এলাকার দোকানগুলোতে ৩০০-৮০০ টাকায় মিলছে কম দামি এসব হেলমেট। এসব হেলমেটের বিক্রিও বেশি। ফলে হেলমেট ব্যবহারকারী বাড়লেও চালক-আরোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।

পুরান ঢাকার সবচেয়ে বড় পাইকারি হেলমেটের বাজার বংশাল। এ এলাকার সিয়াম হেলমেট দোকানের মালিক রনি হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘অনেক দামি হেলমেটও আমাদের কাছে আছে। সঙ্গে কম দামিগুলোও রাখি। দোকানে এসে ক্রেতারা তাদের বাজেট জানিয়ে হেলমেট চান। তখন কম দামি হেলমেটই তাদের দিতে হয়। দামি হেলমেট খুব কম বিক্রি হয়।’

ওই দোকানে হেলমেট কিনতে আসা আব্দুল মান্নান ৩০০ টাকা দিয়ে একটি হেলমেট কেনেন। কম দামি ও মানহীন এমন হেলমেট কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘হেলমেট না থাকলে রাস্তায় মোড়ে মোড়ে পুলিশ গাড়ি ধরে। মামলা দেয়, জরিমানা আদায় করে। এর থেকে বাঁচার জন্যই হেলমেট কিনলাম। মানসম্মত কি না- সেটা জানি না। তবে হেলমেট থাকলে অন্তত পুলিশ ধরবে না, মামলাও দেবে না।’

মোটরসাইকেলচালক মো. খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘চুরি হয়ে যাওয়ার ভয়ে কম দামের হেলমেট কিনি। একটা চুরি হলেও আরেকটা কিনে নিতে পারি। দেখা গেলো, বেশি দামে কিনলাম কিন্তু সেটা চুরি হয়ে গেলো। তখন নতুন আরেকটা কেনা কষ্টসাধ্য। আবার না কিনতে পারলে বাইক নিয়ে বের হতেও পারবো না। কারণ হেলমেট না পরলে এক হাজার টাকার মামলা দিয়ে দেবে। এজন্য হেলমেট একটা থাকলেই হলো, ভালো-খারাপ বুঝি না।’

মান দেখেন না ট্রাফিক সার্জেন্টরা!

সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও সার্জেন্টরা হেলমেটবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও মানের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ পান না। অনেক সার্জেন্ট এবং ট্রাফিক সদস্য মনে করেন, যেখানে হেলমেট পরা নিশ্চিত করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে হেলমেটের মান নিশ্চিত সম্ভব নয়।

jagonews24বাতাসে উড়ে যেতেও দেখা যায় এসব মানহীন হেলমেট-ছবি জাগো নিউজ

গুলিস্তান মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রুকনুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কী ধরনের হেলমেট পরেছেন, মান কেমন—এসবের চেয়ে চালক হেলমেট পরেছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করা হয়। হেলমেট না পরা থাকলে আইন অনুযায়ী মামলা দেই আমরা। হেলমেটের মান ভালো হোক বা খারাপ হোক, তা পরলে আমরা মামলা দিতে পারি না। চালক মামলা থেকে বেঁচে যান।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক সার্জেন্ট জাগো নিউজকে বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইনে বাধ্যতামূলক হেলমেট ব্যবহারের কথা বলা আছে। মানের বিষয়ে জানি না। হেলমেট পরা নিয়েই যেখানে চালকদের অনীহা, সেখানে মান ঠিক করা কঠিন। মান নিশ্চিত করা নিয়ে বিএসটিআই কিংবা বিআরটিএকে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করতে হবে। তাহলে হয়তো একটা সময় গিয়ে মানসম্মত হেলমেট পরা নিশ্চিত করা যাবে।’

ট্রাফিক বিভাগের প্রধান ও উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মো. মুনিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মোটরসাইকেল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ একটি যান। সম্প্রতি দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য চালকদের সুরক্ষিত হেলমেট পরা জরুরি। যারা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন, তাদের মধ্যে এক ধরনের অসচেতনতা আছে। তারা খরচ বাঁচাতে গিয়ে ভালো মানের হেলমেট ব্যবহার করেন না। অসাবধানতা ও অসচেতনতা এখানে মূল কারণ। আমরা মোটরসাইকেল চালকদের যখন দেখি কিংবা আটক করি, তখন মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার এবং সচেতনতার বিষয়গুলো বলা হয়। মোটরসাইকেল যখন একটা গতিতে চলে, তখন দুর্ঘটনা হলে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। সচেতনতামূলক প্রোগ্রামগুলোতেও বিভিন্ন সময় এগুলো বলা হয়।’


নীতিমালার পর বিপাকে আমদানিকারকরা

বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার হেলমেট বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে বাংলাদেশ। আমদানি করা এসব হেলমেট বন্দরে পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা করছে বিএসটিআই। ফলে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন পেতে বন্দরে আটকা পড়ছে আমদানি করা হেলমেট।

আমদানিকারকদের দাবি, আগে হেলমেটের মান যাচাইয়ে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন লাগতো না। হেলমেটের মানদণ্ড নির্ধারণে প্রণীত নীতিমালা নিয়েও আমদানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। হঠাৎ করে মান নিশ্চিতে বিএসটিআই কঠোর হওয়ায় আমদানি করা অসংখ্য হেলমেট বন্দরে আটকা পড়েছে।

তবে বিএসটিআই সূত্র জানিয়েছে, বিএসটিআই একটি পণ্যকে তখনই অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক করে, যখন এটির গুরুত্ব দেখা দেয়। দেশে মোটরসাইকেল বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে দুর্ঘটনাও। এতে প্রায়ই প্রাণহানি ঘটছে। তরুণ-যুবকরা বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। এক্ষেত্রে চালকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মানসম্মত হেলমেট ব্যবহার জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছে বিএসটিআই। এজন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির মাধ্যমে মানসম্মত হেলমেটের মানদণ্ড প্রণয়ন করা হয়। ফলে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া দেশে হেলমেট বিক্রি ও বিতরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এক্ষেত্রে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদেরও মতামত নেওয়া হয়েছে।

বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক মো. রিয়াজুল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এমনকি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও দেওয়া হয়েছে। আমদানিকারকদের বার বার সতর্ক করেছি আমরা। এখন নিম্নমানের হেলমেট আমদানির সুযোগ নেই। যেগুলো আগেই আমদানি করা হয়েছে, সেগুলো নিয়মিত অভিযানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের জেল জরিমানাও করছি। নীতিমালা পাস হওয়ার পরও একাধিকবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। তারপরও যদি কেউ মানহীন হেলমেট আমদানি করে, সেটা মেনে নেওয়া হবে না।’


তিন স্তরের হেলমেট কেনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হাদিউজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিএসটিআই হেলমেটের গুণগত মান যাচাইয়ের কাজ যদি ভালোভাবে মনিটরিং করে, তাহলে বাজারে নিম্নমানের হেলমেট কমে যাবে। চালক ও আরোহীদেরও হেলমেট কেনার ক্ষেত্রে ভালো মানের হেলমেট কেনা দরকার।’

বুয়েটের এ অধ্যাপক আরও বলেন, ‘হেলমেট কেনার ক্ষেত্রে অন্তত এটা দেখা দরকার যে, একটি হেলমেটের তিনটি পার্ট যেন থাকে। পেঁয়াজের খোসায় যেমন পার্ট থাকে, ঠিক তেমনি ভালো মানের হেলমেটের তিনটি পার্ট (স্তর) আছে। প্রতিটি পার্ট চালক ও আরোহীদের বিভিন্নভাবে রক্ষা করে। হেলমেট কেনার সময় খেয়াল করলেই এটা দেখতে পাবেন। হেলমেটের গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য অন্তত তিনটি পার্ট দেখে কিনলে ঝুঁকি অনেকটা কমবে।’

সর্বশেষ - সকল নিউজ