এই স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার সব ব্যক্তিরই আছে, কিন্তু এই মত প্রকাশের অধিকারকে অপব্যবহার করে এই দেশের নামে প্রতিনিয়ত কুৎসা রটাচ্ছে কিছু ভালো মানুষের মুখোশধারী অপরাধচক্র। যাদের জন্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, যার প্রকৃত উদাহরণ মিথ্যাবাদী, ভণ্ড, প্রতারক, বরখাস্ত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান। ২৮টি অভিযোগের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে। যেখানে তার প্রতি আনা সবগুলো অভিযোগই ছিল সুনির্দিষ্ট এবং প্রমাণিত সত্য, সেখানে এখনো নিজেকে একজন সৎ ও ওয়ার্নিং হীন সেনা অফিসার হওয়ার দাবি করেন এই ব্যক্তি। সেই সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেছে, এমন একটি ভুয়া খবর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে গেছেন তিনি।
মূলত বরখাস্ত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান প্রবাসে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এবং গুজব ছড়ায়। যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন বাড়ছে অবসরপ্রাপ্ত শহীদ উদ্দিন খান এর অপরাধমূলক কর্মকান্ডের তালিকা। আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা “ইন্টারপোল” কর্তৃক ওয়ান্টেড দোষী সাব্যস্ত এই অপরাধী এবং সন্ত্রাস-তহবিলকারী শহীদ উদ্দিন খান বছরের পর বছর ধরে যুক্তরাজ্যে লুকিয়ে ছিলেন। লন্ডন এ বসে শহীদ দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র, সেনাবাহিনী ও সরকারব্যবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ও অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। এই অর্থলোভী প্রতারক দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে বিদেশে পাচার করে সপরিবারে দেশ থেকে পালিয়েছে। দেশের বাইরে বসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমাদের গর্বের সেনাবাহিনী ও এই দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
এই অবাঞ্চিত কর্নেল শহীদের শরীরে রাজাকারের রক্ত বহমান। তিনি নিজে একজন রাজাকার পরিবারের সদস্য এর প্রত্যক্ষ সাক্ষী শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ঝালকাঠির নলছিটিতে শহীদের পরিবারের সদস্যদের( শান্তি বাহিনি )ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। একজন দেশদ্রোহী রাজাকারের সন্তান থেকে এর চাইতে ভাল আর কি আশা করা যায়! এই অসভ্য দুশ্চরিত্র ব্যক্তিকে বিএনপি সরকারের আমলে ২ বার সেনাবাহিনী থেকে কোর্টমার্শালের মাধ্যমে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এই প্রতারক ঠকবাজ দেশের বাইরে বসে বিভিন্ন টকশোর মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে তার সাথে আরও কিছু দেশদ্রোহী ব্যক্তিকে নিয়ে রাষ্ট্র, সেনাবাহিনী ও সরকার ব্যবস্থাকে হেয় করে বিভিন্ন রকমের উস্কানি মুলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে দেশের সম্মানিত ও সাংবিধানিক দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তিদের কে নিয়ে বিভিন্ন রকমের মিথ্যা কাহিনী বানিয়ে দেশের মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা চালান অনবরত। এই প্রতারক ঠকবাজ শহীদ (অস্থায়ী মুক্তি) নামের ননরেজিস্টার্ড একটি সংগঠন খুলে নিজেকে সেই সংগঠনের বড় একজন নেতা ভাবতে শুরু করেছে । এই সংস্থার নাম দিয়ে করে যাচ্ছে বিভিন্ন ধান্দাবাজি মূলক কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটু মনোযোগ দিয়ে চোখ বোলালেই দেখা যায় শহীদের পুরো পরিবারের কুকীর্তি এবং তার সন্তানদের অশালীন আচরণ। তার প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে দেশ ও দেশের বাইরে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছে বিভিন্ন পুরুষের সঙ্গে ।
এছাড়াও অর্থ আত্মসাৎ করতে বহুল সমালোচিত ডেসটিনি কান্ডের সাথেও জড়িত ছিলেন এই কর্নেল শহীদ, দিয়েছেন কোটি কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি। আর এভাবেই অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছে এই দেশদ্রোহী। বিজিবিতে থাকাকালীন সময়ে চুরি করে গাছ বিক্রয় করার সময় হাতে নাতে ধরা খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত হন এই ব্যক্তি। বাদ যায়নি জঙ্গি সংস্থা থেকেও, গুলশানের হলি আর্টিজনে জঙ্গি হামলায়ও তার পরোক্ষ সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া যায়। মাদক ব্যবসায়ের সাথেও প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত তিনি, তার নামে রয়েছে একাধিক মামলাও। এমনকি জাল টাকার মামলায় স্ত্রীসহ বরখাস্ত কর্নেল শহীদের ১০ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত তিনি। এমন কোন অপকর্ম নেই যেখানে তার বিচরণ নেই।
এই কর্নেল শহীদের ন্যাক্যারজনক কাজ সমূহের পূর্ন ধারণা কখনোই একবারে দিয়ে শেষ করা সম্ভব নয়। উপরে উল্লেখিত অপরাধ গুলোর বিস্তারিত প্রমাণসহ কর্নেল শহীদের কুকর্মের সত্য উন্মোচন করা হবে আমাদের এই প্রতিবেদনের পরবর্তী পর্বগুলোতে। তাই বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আমাদের পরবর্তী প্রতিবেদনে।