রোহিঙ্গা জেনোসাইডবিষয়ক মামলা নিয়ে মিয়ানমারের আপত্তির বিষয়ে আগামী ২২ জুলাই সিদ্ধান্ত দেবে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত (আইসিজে)। গত সোমবার নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে আইসিজে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। সেদিন আইসিজের প্রেসিডেন্ট জোয়ান ই ডোনোগুই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।
গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক সনদ লঙ্ঘন ও রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে ২০১৯ সালে আইসিজেতে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে। গাম্বিয়ার ওই মামলার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে মিয়ানমার। গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে আইসিজেতে এ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানির ভিত্তিতেই আগামী ২২ জুলাই আদেশ হওয়ার কথা রয়েছে। মিয়ানমার দাবি করছে, গাম্বিয়া এই মামলায় সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত কোনো পক্ষ নয়। গাম্বিয়া অন্যের হয়ে ‘প্রক্সি’ দিচ্ছে। রোহিঙ্গা জেনোসাইড নিয়ে মামলা চললেও মিয়ানমার পক্ষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে দুই দফায় সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সময় একবারের জন্যও ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি উচ্চারণ করেনি। গাম্বিয়ার পক্ষে আইনজীবী পল রেইখলার আইসিজের শুনানিতে বলেছেন, মিয়ানমার যে তার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে অস্বীকার করতে চাচ্ছে, এটি তারই প্রমাণ।
তিনি বলেন, গাম্বিয়া তৃতীয় পক্ষ, সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত নয়—এসব যুক্তি আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য। মিয়ানমার গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক সনদে স্বাক্ষর করেছে। সেই সনদ মিয়ানমারসহ স্বাক্ষরকারী সব রাষ্ট্র মানতে বাধ্য। সনদের সদস্য হয়ে সেই সনদ নিজের পাশাপাশি অন্য সদস্যদেরও মেনে চলার ব্যাপারে যে কোনো সদস্যরাষ্ট্র আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার রাখে। মিয়ানমার সনদ মেনে চলার দায় এড়াতে পারে না।