logo
Thursday , 7 July 2022
  1. সকল নিউজ

দেশ বিরোধী নাশকতামূলক কর্মকান্ডের মারাত্মক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ইন্টারপোল ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী ও তার সহযোগীরা

প্রতিবেদক
admin
July 7, 2022 11:15 am

বাংলাদেশের উন্নয়ন চিরকালই দেশ বিরোধী একটি চক্রের নিকট লোভনীয় লক্ষ্য বস্তু ছিল। কট্টর ইসলামপন্থী, তথাকথিত জিহাদি, ইন্টারপোল ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী-তহবিলকারীরা সবসময় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের সাজানো প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে রাজনৈতিক অবস্থা অস্থিতিশীল করায় সদা সচেষ্ট। আর এ্ই কাজকে আরোও ত্বরান্বিত করেছে ফরহাদ মজহার নামে একজন খেলাফতপন্থী ব্যক্তি মিথ্যাবাদী লোকেরা। তারা তাদের মিথ্যা ও ভুয়া গল্প দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র পুনরায় চালু করেছে।
২০১৩ সালে, যখন খিলাফতপন্থী জিহাদী সংগঠন হেফাজতে ইসলাম, খোমেনী-ধরণের ইসলামী আন্দোলনের অনুকরণ করে, হাজার হাজার মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের একত্রিত করে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অপচেষ্টা করেছিল, ফরহাদ মজহার খিলাফতের কট্টর সমর্থনকারী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং কট্টরপন্থী ইসলামিক দলগুলিও অন্যান্যদের মতো মাজহার খিলাফতপন্থী হেফাজতে ইসলামের এই যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন। এই কট্টরপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সাথে তার জোট প্রকাশ্যে প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছিল দলগুলো।
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম বিএনপির প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার ধর্মনিরপেক্ষ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে খেলাফত প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। তাদের ভারত-বিরোধী, ইহুদি-বিরোধী, হিন্দু-বিরোধী, পশ্চিম-বিরোধী এবং আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) এবং অন্যান্য জিহাদি সংগঠন ভক্ত মানষিকতার কারণে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরাও হেফাজতের এজেন্ডার প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন। মাজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তারও একটি শীর্ষস্থানীয় স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি নিবন্ধের মাধ্যমে খেলাফতপন্থী হেফাজতে ইসলামকে রক্ষা করেছিলেন। তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা ছিল নারীর ক্ষমতায়ন এবং রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের বিরোধিতা করা এবং হেফাজতে ইসলামের সহযোগীতায় বাংলাদেশকে একটি “খাঁটি খেলাফতে” পরিণত করা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সাফল্য হিসেবে বিবেচিত নবনির্মিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময় ফরহাদ মজহারকে কনক সারওয়ার নামক তথাকথিত সাংবাদিক কর্তৃক পরিচালিত একটি টক শোতে আমন্ত্রণ জানানো হয়। উল্লেখ্য, কনক সারোয়ার ইন্টারপোল ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী তহবিল সংগ্রহকারী শহিদ উদ্দিন খানের মত বিপজ্জনক ব্যক্তির স্থায়ী বেতনভোগী ছিলেন। এই প্রোপাগান্ডা শোতে, ফরহাদ মজহার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান আর্থ-সামাজিক অর্জনকে ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন এবং উন্মাদনামূলক বক্তব্য দেন।
ইন্টারপোল-ওয়ান্টেড সন্ত্রাস অর্থায়নকারী কর্তৃক ফেসবুক কর্মকর্তাকে ভীতি প্রদর্শন
ইন্টারপোল-ওয়ান্টেড সন্ত্রাস-ফান্ডার শহীদ উদ্দিন খান, যিনি ২০১৮ সাল থেকে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। সম্প্রতি সে তার ফেসবুক ওয়ালে ফেসবুকের কর্মকর্তা সাবহানাজ রশিদ দিয়াকে “আওয়ামী লীগের এজেন্ট” হিসাবে ব্র্যান্ডিং করে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছেন। এসময় তিনি মিসেস দিয়াকে লক্ষ্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যুদ্ধ করার জন্য জিহাদি এবং সন্ত্রাসবাদী শক্তির প্রতি সরাসরি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ০৪ জুলাই, ২০২২-এ, ইন্টারপোল ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী-ফান্ডার শহীদ উদ্দিন খান আব্দুর রব ভুট্টো নামে আরেক জিহাদি অপরাধীর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে ভুট্টো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ফটোশপ করা এবং বিকৃত ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন করেছেন। তথ্যমতে, ইন্টারপোল ওয়ান্টেড সন্ত্রাসের অর্থায়নকারী এবং তার অপরাধী, সন্ত্রাসী ও জিহাদ-সমর্থনকারীরা ফেসবুকের বেশ কয়েকটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই আফরিন সুলতানা রজোমনি ইউসুফ নামে একটি আইডি সহ আরোও কয়েকটি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এই সূত্র ধরেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের তদন্ত চলমান রেখেছে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ