logo
Thursday , 7 July 2022
  1. সকল নিউজ

বিদ্যুৎ চাইলে গুলি করত বি এন পি

প্রতিবেদক
admin
July 7, 2022 10:29 am

আসেন আজ একটু হিসেব-নিকেশ করি , বিএনপির আমলে দৈনিক কত ঘন্টা বিদ্যুৎ সেবা পেতেন? ভুলে গেছেন ? সমস্যা নাই। মনে করিয়ে দিচ্ছি। মাগরিবের আগে কারেন্ট চলে গেলে আসতো রাত ১২ টার পর। ১৫/২০ মিনিট থেকে আবার চলে যেতো, আসতো ভোর রাতে। তখন মানুষ শুধু খাম্বা দেখতো, বিদ্যুৎ আর দেখতো না। এই ২/৪ দিনের লোডশেডিংয়ে, বিএনপি-জামাত মোটামুটি ফেসবুকে সরকারের গুষ্টি উদ্ধার করে দিচ্ছে। কারন তারা নাকি লোডশেডিংয়ে টিকতে পারছে না? তাই টিভি টকশোতে মনগড়া কথা বলে দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাহলে আমি বিএনপিকে বলতে চাই, বিএনপির আমলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কারেন্ট থাকতো ৩/৪ ঘন্টা। তখন আপনারা ছিলেন ??? আপনাদের আমলে বছরের পর বছর আপনারা বেঁচে ছিলেন কিভাবে?? তখন কই ছিলেন আপনারা? হাওয়া ভবনে হাতে চুরি পড়ে কোমর দুলিয়ে নাচছিলেন? বিএনপির আমলজুড়েই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংকটে অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল দেশ।

ফিরে যাই একটু পেছনে, ২০০৫ সালের রমজান মাস। কার্তিকের কাঠফাটা গরমে প্রাণান্তকর অবস্থা সাধারণ মানুষের। ঢাকা শহর জুড়ে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। আর সারাদেশে তো বিদ্যুৎই থাকে না। এমনকি ইফতার, তারাবি ও সেহরির সময়েও বিদ্যুৎ না থাকায়- অবশেষে ক্ষুব্ধ হয় আপামর জনতা। বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনের এই আমলে, খোদ ঢাকাতেও দিনের বেলা মোমবাতি জ্বালিয়ে নিয়মিত স্কুলের ক্লাস নিতে বাধ্য হয়েছেন শিক্ষকরা। বিদ্যুৎ না থাকায় পানি উত্তোলনও ব্যাহত হয়েছে শহরে, ফলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে রাজধানীর সাধারণ জনগণ। এসময় গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ না থাকায়- চাষাবাদের জন্য ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন কৃষকরা। সেই সুযোগে ডিজেল ও সারের দামও বাড়িয়ে দেয় ‘হাওয়া ভবন সিন্ডেকেট। শুধু বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণেই ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে হত্যা করা হয় ২০ জন সরলপ্রাণ গ্রামবাসীকে। সেপ্টেম্বরে দেশের ৪০টি জেলার সাধারণ মানুষের ওপর একযোগে হামলা চালায় বিএনপি-জামায়াতের পেটোয়া বাহিনী। এভাবেই হত্যা ও খুনের রাজত্ব কায়েম করে- দেশকে নৈরাজ্যের অন্ধকারে ডুবিয়ে- কয়েক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে তারেক রহমান ও তার বন্ধুরা।

বিএনপিকে বলতে চাই, যখন ২৪ ঘন্টা বিদ্যুত সেবা নিয়েছেন তখন কি একবার ও সরকার এর সুনাম করেছেন? তাহলে এখন দিনে দু এক ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলে সরকারের এত বদনাম কেন করছেন? আসল কথা হলো বিএনপি জামাতের বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো সমস্যা নাই তাদের সমস্যা হলো সরকার নিয়ে! সরকার দোষ খুজা ই তাদের কাজ সরকার এর বদনাম করা ই তাদের কাজ!! দেশের মানুষ সুখে থাকলে যে বিএনপিকে ভুতে কিলায় এটা ই তার প্রমান!!

মূল কথায় আসি, এটা একটা বৈশ্বিক সমস্যা, আমরা বাঙ্গালি, আমরা সবই পারি,একটু ধৈর্য ধারণ করুন। আমরা জানি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাসসহ বিদ্যুৎ তৈরির উপকরণের দাম বেড়ে গেছে। গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুনরায় স্বাভাবিক হবে। তবে পিডিবির ১৫২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। তবে ক্যাপটিভসহ মোট উৎপাদন ক্ষমতা সাড়ে ২৫ হাজার মেগাওয়াটের মতো। আজ কেমন আছে গ্রামের মানুষ? ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। প্রত্যন্ত গ্রামের হারিকেনটিও এখন চলে গেছে জাদুঘরে।

২০০৯ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের বদলে যাওয়ার চিত্র আমরা দেখতে পায়েছি । ১৩ বছরে বদলে গেছে পুরো দৃশ্যপট। দেশের শতভাগ মানুষ ভোগ করছে ২৪ ঘণ্টার বিদ্যুৎ সুবিধা। আজকের বাংলাদেশ বদলে গেছে। শতভাগ বিদ্যুতের ওপর ভর করে দেশ ডিজিটাল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। অথচ এখনকার প্রজন্ম জানেই না একসময় বিদ্যুতের জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে মানুষদের। প্রধানমন্ত্রী তাদের সেই রক্ত বৃথা যেতে দেননি। ক্ষমতায় আসার পরই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। টানা তৃতীয় মেয়াদের সময়ে পুরো দেশ আলোকিত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যাতে আর অতীতের অন্ধকারে নিমজ্জিত না হয় সেই প্রচেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ