মন্ত্রী-এমপিরা বলেছেন, সাহস-আত্মমর্যাদা-সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু করে প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, কেউ আর আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। এই পদ্মা সেতু আরও বহু অর্জনের পথ খুলে দিয়েছে। এই সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু দেখে বিএনপিসহ বিরোধীতাকারী-ষড়যন্ত্রকারীদের বুকটা ফেটে যাচ্ছে, অন্তর্জ্বালায় ভুগছে। এরা দেশের উন্নয়ন দেখে না, কারণ এরা পাকিস্তানের চর,দালাল। আগামী নির্বাচনেও দেশের জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।
সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ কথা বলেন।
এদিন আলোচনায় অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকার, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, এ কে এম রহমতুল্লাহ, আশেক উল্লাহ রফিক, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু, বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি, টিআইবিসহ অন্যান্যরা প্রতিবার বলে, বাজেট বাস্তবায়িত হবে না। কিন্তু প্রতিটি বাজেট ৯৫-৯৭ ভাগ বাস্তবায়ন করে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বের ৩১তম অর্থনৈতিক শক্তিশালী দেশ। পদ্মা সেতু হচ্ছে মানুষের আবেগ, গর্ব, সক্ষমতা ও ষড়যন্ত্রকারীদের জবাব দেওয়ার সেতু। একজন শেখ হাসিনা না থাকলে কোনো দিনই পদ্মা সেতু হতো না।
তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যাংক যখন অর্থায়ন বন্ধ করেছে, তখন খালেদা জিয়ারা বলেছেন আওয়ামী লীগ এই পদ্মা সেতু করতে পারবেন না। স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে, তাদের মুখে চুনকালি পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু মাল্টিপারপাস সেতু। ট্রেন-গাড়ি শুধু নয়, গ্যাস-বিদ্যুত সবাই রয়েছে। সমগ্র পৃথিবী এই পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রশংসা করেছে। সবাই বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা করছে। বিএনপি কিন্তু অভিনন্দন জানাতে পারেনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ হওয়াতে তাদের গায়ে জ্বালা ধরেছে। নাট-বল্টু যে খুলেছে সেই টিকটককারী ছাত্রদল করতেন। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের মুখে কোনো কথা নেই। অনেকে মানবাধিকারের কথা বলে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের মানবাধিকার অনেক উন্নত। ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আড়াইশর মতো গুলির ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি-জামায়াত জোট যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস করে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা মানায় না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে দুটি হিমালয়সম বাধা করেছে। প্রথমটি হচ্ছে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন। আর এ স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আরেকটি বৃহৎ অর্জন হচ্ছে, শত বাধা-বিপত্তি এবং ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ। আর এ বৃহৎ অর্জনের মহানায়ক হচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আর এই পদ্মা সেতু আরো বহু কিছু অর্জনের পথ খুলে দিয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘আত্মনির্ভরশীল ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট’ উল্লেখ করে বলেন, বিএনপি চোখে কোনো উন্নয়নই দেখতে পায় না। এরা চোখ থাকতেও অন্ধ। কারণ দলটি একটি জগাখিচুড়ির দল, মার্কাটাও মাওলানা ভাসানির ধানের শীষ নিয়েছে। সাহস-আত্মমর্যাদা-সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু করে প্রধানমন্ত্রী সারাবিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন- কেউ আর আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না।
সাবেক চিফ হুইপ আসম ফিরোজ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত চ্যালেঞ্জ মোকবেলা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে পুরো দেশকে এক কাতারে নিয়ে এসেছেন। অথচ সরকারের অর্জন বিএনপি চোখে দেখে না। এরা পাকিস্তানের চর, দালাল। এখনও বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি, তাদের পাকিস্তানে চলে যাওয়া উচিত।