logo
Monday , 27 June 2022
  1. সকল নিউজ

সময়ের আগেই ডাব্লিউএইচও’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করল বাংলাদেশ

প্রতিবেদক
admin
June 27, 2022 9:45 am

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে অন্যতম কৌশল হলো দ্রুত সময়ে নির্ধারিত জনগোষ্ঠিকে টিকার আওতায় আনা। এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বাংলাদেশকে সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ে চার দিন আগেই বাংলাদেশ এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাইলফলক স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে।

রোববার রাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ডেপ্লোয়মেন্ট কমিটি (করোনার টিকা প্রয়োগ কমিটির সদস্য সচিব) ডা. মো. শামসুল হক যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চত করেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, ‘আমরা দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে করোনার পূর্ণ দুই ডোজ টিকা দিতে পেরেছি। এটা আমাদের একটি বড় সাফল্য।’

তিনি আরও বলেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে স্বাস্থ্যবিভাগের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বিত পদক্ষেপে এই সফলতা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ দাতা দেশগুলো যারা টিকা দিয়ে সহযোগিতা করছে। সবচেয়ে বেশি অবদান হলো দেশের মানুষ, যারা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে মোট জনগোষ্ঠির মধ্যে কমপক্ষে ৭০ শতাংশকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকার আওতায় আনতে হবে। চলতি মাসের ৩০ জুন শেষ হবে এই সময়।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সর্বশেষ কোভিড ভ্যাকসিন আপডেট বলছে, দেশে এ পর্যন্ত ১২ কোটি ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮০৯ জনকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯৯ হাজার ২৪৫ জনকে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখের কিছু বেশি। এ হিসাবে ৭০ শতাংশ মানুষ পূর্ণ ডোজ টিকার আওতায় এসেছে। এ ছাড়া ২ কোটি ৮৬ লাখ ১৫ হাজার ৫৪৩ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম করোনা টিকাদান শুরু হয়। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে ব্যাপকভিত্তিতে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে ছয়টি প্রতিষ্ঠানের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে আছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্ম, মডার্না, সিনোভ্যাক ও জনসন

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত