দেশের সার্বিক উন্নয়নযজ্ঞে কোণঠাসা হয়ে পড়া বিএনপি-জামায়াত জোট বেশ কিছুদিন ধরেই দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য নতুন কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। এই গোষ্ঠীর মুখপাত্রদের নিয়ে ইন্টারনেটে নিয়মিত উসকানিমূলক ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছে চক্রটি। টাকার বিনিময়ে প্রধান সহযোগী হিসেবে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে বিদেশে অবস্থানকারী তথাকথিক সাংবাদিক ও জালিয়াতির মামলার পলাতক আসামী কনক সরোয়ার।
গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টে জানা যায়, বিএনপি-জামাতের গুজব সেলের প্রধান কারিগর মাহমুদুর রহমানের পরিকল্পনাতেই দেশবিরোধী এই অপপ্রচার মিশন চলছে। তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারেক রহমান ৫০ কোটি টাকা দিয়েছে অনলাইন একটা চক্রকে।
পরিচয় গোপন করা শর্তে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাজনীতি করা এক সিনিয়র নেতা জানান, মাহমুদুর রহমানের পরামর্শে ড. কামাল সাহেবের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানেরের মাধ্যমে কনক সারোয়ারের সাথে ৫০ কোটি টাকার চুক্তি করে তারেক রহমান। তবে আমার জানামতে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সেখানে সরকার এবং দেশবিরোধী একটি গোষ্ঠীর সম্পৃক্ততা খুঁজে পাওয়া গেছে। তাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই ঘটনালগুলোর সাথে যারা জড়িত তাদের কোনভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
উল্লেখ্য, দুর্নীতি, অর্থ পাচার, জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা ও নৈতিক স্খ’লনের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, পলাতক এবং চাকরিচ্যুত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খানকে দিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের উসকে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই দেশবিরোধী চক্র।
সেই চক্রের প্রধান সমন্বয়ক কনক সারওয়ার। বিদেশে থেকে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ এবং সাংবাদিকতার আড়ালে প্রতিনিয়ত প্রতিহিং’সা এবং ষড়যন্ত্রমূলক বার্তা প্রদান করে থাকে সাংবাদিক নামধারী সারয়ার।
যার প্রমাণ সাজাপ্রাপ্ত আসামি কর্নেল শহীদ, মেজর দেলোয়ার ও অর্থলোভী, সমাজধি’কৃত লেফটেনেন্ট জেনারেল হাসান সোরওয়ার্দীর মতো দেশবিরোধী কয়েকজনের মাধ্যমে তার ইউটিউব চ্যানেলে লাইভে এসে মিথ্যাচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সরকার, প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু এবং সেনাবাহিনীকে হেয় করে উচ্চকণ্ঠে মনগড়া আলাপের সময় হিং’স্রভাবে হাসতে দেখা যায় তাদের। এমনকি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই বলতেও দ্বিধা করছে না এরা। বাংলাদেশের সংবিধান ও গণতন্ত্রকে হেয় করে সেনাসদস্যদের মাঠে নামতে নিয়মিত আহ্বান জানায় চক্রটি।
দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কোভিড মোকাবেলায় সরকারের সফলতা, মানুষের ক্ষুধামুক্তি এবং অজপাড়াগাঁয়ে পর্যন্ত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি পৌঁছে দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরু’দ্ধে কিছু বলার সুযোগ না থাকায় তাকে নিয়ে বানোয়াট গুজব ছড়াচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের এজেন্টরা।
১৭ কোটি টাকা আয়কর ফাঁকির মামলায় ৯ বছরের জেল এবং জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততা ও তাদেরকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের মামলায় যাব’জ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই চাকরিচ্যুত কর্মকর্তার ক্ষোভ দেশপ্রেমিক সেনাসদস্যদের ওপরেও কম না। তাই সুযোগ পেলেই সেনাবাহিনীতে চাকরিরত সদস্য ও সেনানিবাসে হাম’লায় উসকানি দিতেও ছাড়ছে না সে।