মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত হত্যা-গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার ও রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চান বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
সোমবার (৩০ মে) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার দ্বাদশ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, একাত্তরের গণহত্যা, নির্যাতন নিয়ে অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন গবেষণা করছেন। আমার মন্ত্রণালয় থেকে সেটিতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। তিনি সারাদেশের মধ্যে সাড়ে চার হাজার বধ্যভূমি তালিকাভুক্ত করেছেন। আমার নির্বাচনি এলাকার একটি উপজেলায় ১৭টি বধ্যভূমি পাওয়া গেছে। যার একটি বধ্যভূমিতে একই গ্রামের ১৬৫ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। সেই ১৬৫ জনের তালিকাই আমাদের হাতে আছে।
‘তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা যে কাজটি করছে তার ফলে ট্রাইব্যুনালে অপরাধীদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। যে পরিমাণ মামলা হয়েছে তার অনেক মামলা এখনো রয়ে গেছে। অপরাধীরা সাজা পাওয়ার আগেই সাক্ষীরা মারা যাচ্ছে। এগুলো আমাদের আক্ষেপ।’
তিনি বলেন, বিচার দ্রুত হওয়া দরকার। জাস্টিস ডিলেইড জাস্টিস ডিনাইড- এই কথাটি তো আর এমনি আসেনি। তাই আমরা চাইবো যারা বিচারপতি, তদন্ত সংস্থায় যারা আছেন তাদের কাছে সবিনয় আবেদন, আমরা খুব দ্রুত এই বিচারগুলোর রায় দেখতে চাই এবং রায়ের কার্যকারিতা দেখতে চাই। মরা খুব দ্রুত এই বিচারগুলোর রায় দেখতে চাই এবং রায়ের কার্যকারিতা দেখতে চাই।
অনুষ্ঠানে সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আক্তার হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কো-অর্ডিনেটর এম. সানাউল হক প্রমুখ এসময় বক্তব্য রাখেন।