বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলায় প্রায় ১৫ বছর পর হাইকোর্টে রুলের ওপর শুনানি শুরু হচ্ছে। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার শুনানি হওয়ার কথা। আজ মঙ্গলবার শুনানির এ দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করে রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ওই বছর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী মামলা দায়েরের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন। পাশাপাশি রিটে জরুরি আইনেরও বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। হাইকোর্ট রুল জারি করে মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দেন। গতকাল রুলটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় আসে। এরপর রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করার আবেদন করে দুদক।
একই মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবায়দা। ওই আবেদনেও মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করা হয়। পাশাপাশি জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা রহমান। ১৩ এপ্রিল এটি খারিজ করেন আপিল বিভাগ।