logo
Thursday , 1 April 2021
  1. সকল নিউজ

সড়কে যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে: স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক

প্রতিবেদক
admin
April 1, 2021 8:58 am

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক পড়েছে বাস, লঞ্চ ও ট্রেনযাত্রায়। সরকার বাসের প্রতি দুই আসনে একজন বসার শর্তে ভাড়া বাড়িয়েছে ৬০ শতাংশ। বুধবার বাড়তি ওই ভাড়া আদায় করা হলেও রাজধানীর বেশিরভাগ বাসে দুই আসনে একজন যাত্রী বসানোর শর্ত মানেননি পরিবহণ শ্রমিকরা। অনেক বাসে দাঁড়িয়েও যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে।

এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে অনেক স্থানে পরিবহণ শ্রমিকদের বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। সরকারি বাস বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন-বিআরটিসির বাসে এ চিত্র বেশি দেখা গেছে। অনেক পরিবহণ শ্রমিক ও যাত্রীদের মুখে মাস্কও ছিল না। গাড়িতে জীবাণুনাশকও দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার লঞ্চের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। এতে প্রথম শ্রেণির কেবিন যাত্রীদের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এছাড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ১১ এপ্রিলের পর ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা রেখে এবং বাসের সংখ্যা না বাড়িয়ে যাত্রী পরিবহন ৫০ শতাংশ বিধান করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে অফিস শুরু ও ছুটির সময়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে চাকরিজীবীদের। গাড়ির সংকটে পড়েন যাত্রীরা। এর প্রতিবাদে রাজধানীর এয়ারপোর্ট সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা।

অপরদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন ১৪ দিনের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি ঠেকাতে গত সোমবার গণপরিবহণে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলার নির্দেশনা জারি করে সরকার। এরপর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসেন বাস মালিকরা।

মঙ্গলবার প্রতি দুই আসনে একজন যাত্রী বহনের শর্তে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির কথা জানান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার থেকে এ ভাড়া কার্যকরের ঘোষণা দেন তিনি। বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ও বিকালে বেশিরভাগ বাসেই আসন পূর্ণ করে যাত্রী নিয়ে দরজা বন্ধ করে চলাচল করেছে। অনেক বাসের যাত্রী ও শ্রমিকদের মুখে মাস্ক ছিল না। তবে দুপুরের দিকে যাত্রীর চাপ কমে এলে কোনো কোনো বাস নির্দেশনা অনুসরণ করেছে।

পল্টনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, রায়েরবাগে বাসা থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় বের হয়ে ৯টার মধ্যে অফিসে যেতাম। আজ গাড়ির সংকটের আশঙ্কায় সকাল পৌনে ৮টায় বের হয়ে দেখি সড়কে গাড়ি নেই। শত শত মানুষ গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে আছে। প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর লোকাল বাস শ্রাবণে উঠতে পেড়েছে। ওই বাসে উঠে দেখি আমার মতো অন্তত ২০ জন দাঁড়িয়ে আছেন। অনেক যাত্রীর মুখে মাস্ক নেই। চালকের মুখে মাস্ক থাকলেও হেলপার থুতনির নিচে মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছেন। আগে এ বাসে ১৫ টাকা ভাড়া নিলেও বুধবার তা বাড়িয়ে ২৫ টাকা নিয়েছে।

একই ধরনের অভিযোগ করেছেন ঢাকা জজকোর্টের আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকার পর সকাল নয়টার পর কোনোমতে ভিক্টর পরিবহণের একটা বাসে উঠতে পাড়লাম। ভেতরে ঢুকে দেখি, সব কটি আসন যাত্রীতে ঠাসা। কারও মুখে মাস্ক আছে, কারও নেই। বাসচালকের সহকারীর মুখেও কোনো মাস্ক নেই। আগে ৪৫ টাকা ভাড়া নিলেও আজ (বুধবার) নিয়েছে ৭০ টাকা। হেলপার বলেছে, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৭২ টাকা ভাড়া। দুই টাকা কম নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, এবার সবকিছু খোলা রেখে এই নিয়ম প্রতিদিন দুর্ভোগ বাড়াবে। তার জিজ্ঞাসা, এসব মানুষ কীভাবে অফিসে যাবে? ক্ষোভের সঙ্গে আনোয়ার হোসেন বলেন, বাস মালিকরা তো ঠিকই টাকা পাচ্ছেন। সমস্যা আমার মতো সাধারণ মানুষদের।

মতিঝিল থেকে গাজীপুর রুটের চলাচলকারী বিআরটিসির দ্বিতল বাসে (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৫৪৯১) দাঁড়িয়ে যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে। এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে বাসের হেলপারের কয়েক দফা বাগবিতণ্ডা করতে দেখা গেছে। পরিচয় জানতে চাইলে ওই হেলপার নিজের নাম প্রকাশ করতে অনীহা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে রুহুল আমিন পরিচয় দেওয়া ওই হেলপার বলেন, যাত্রীরা নিজ থেকেই উঠে যাচ্ছে। আমি কী করব।

একই কারণে হেল্পারের সঙ্গে যাত্রীদের মারামারি করতে দেখা গেছে ভিক্টর পরিবহণের ঢাকা মেট্রো ব ১৩-০১০২ নম্বর বাসেও। খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ি থেকে নতুন বাজার আসা যাত্রী আবু সালেহ আহমেদ বলেন, আগে এটুকু পথের জন্য ভাড়া নিত ১০ টাকা। আজকে নিল ২০ টাকা। ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। অথচ স্বাস্থ্যবিধি মানেন না বাসের চালক ও তার সহকারী।

আবু সালেহ বলেন, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। বাসের প্রতিটি আসনেই যাত্রী ছিল। দাঁড়ানো যাত্রী ছিল দু-তিনজন। প্রতিটি মোড়ে সার্জেন্ট এলেই দাঁড়ানো যাত্রীদের বসিয়ে দিত। কী পরিমাণ কষ্ট মানুষের, না দেখলে বোঝানো যাবে না।

মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ : রাইডশেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ করেছে বিআরটিএ। বুধবার এক আদেশে ১৪ দিনের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। একই সঙ্গে রাইডশেয়ারিংয়ের অন্যান্য গাড়িতে সরকারি নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এদিকে অপর এক চিঠিতে সাত দফা নির্দেশনা দেয় বিআরটিএ। এতে চালক ও হেলপারকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। প্রতিটি ট্রিপের পর গাড়ি জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।

লঞ্চের ভাড়া বাড়ছে ৬০ শতাংশ : বুধবার লঞ্চে যাত্রী পরিবহণে স্বাস্থ্যবিধি ছিল অনেকটা উপেক্ষিত। অনেক যাত্রী মাস্ক না পরেই লঞ্চে উঠেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে পাশাপাশি বসেই গন্তব্যে গেছেন। যদিও যাত্রীবাহী লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী পরিবহণের শর্তে ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। বিআইডব্লিউটিএ ও নৌযান মালিকদের মধ্যে বুধবার বৈঠকের পর তা পাঠানো হয়।

সংস্থাটির চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক স্বাক্ষতির প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভাড়া ১ টাকা ৭০ পয়সা ও পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ১ টাকা ৪০ পয়সা। শুধু করানাভাইরাস সংক্রমণকালীন সময়ে প্রতিটি অভ্যন্তরীণ নৌযানে যাত্রী ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ লঞ্চ চলাচলের শর্তে ৬০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হলো।

তবে বিআইডব্লিউটিএর এ প্রস্তাবে তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। বরিশালের যাত্রী সাইদুর রহমান বলেন, প্রথম শ্রেণির সিঙ্গেল কেবিনে আগেও একজন যাত্রী যেতেন, এখনও তাই যাবেন। আগে ঢাকা থেকে বরিশাল এক হাজার টাকা ভাড়া নিলে এখন তা এক হাজার ৬০০ টাকা হবে। কোনো বাড়তি সুবিধা ছাড়া কেন আমাকে এ ভাড়া গুনতে হবে।

এর আগে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমারসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসংক্রান্ত এক বৈঠক হয়। এতে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ভাড়া বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, গণপরিবহণে ৫০ শতাংশ যাত্রী পরিবহণের সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। করোনার সময়ের জন্য লঞ্চের ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। গতবারের চেয়ে একটু বেশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে যাতায়াত না করার অনুরোধ জানান তিনি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

বৈঠকে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নৌপরিবহণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু জাফর মো. জালাল উদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, করোনা রোধে স্বাস্থ্য বিভাগের প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সদরঘাটসহ অন্যান্য নৌবন্দরে যাত্রীসহ নৌযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে; লঞ্চের অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় এবং নদীর মাঝপথে নৌকায় যাত্রী উঠালে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ মালিক/চালকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে; ঈদের আগে ও পরের ৩ দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় ও দ্রুত পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া সাধারণ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ফেরিতে পারাপার বন্ধ রাখতে হবে; রাতে সব মালবাহী জাহাজ, বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

আগামী ১১ থেকে ১৭ মে পর্যন্ত দিনেও বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখতে হবে; কোনো ক্রমেই লঞ্চের যাত্রী ও মালামাল ওভারলোড করা যাবে না। এ ছাড়া আরও সিদ্ধান্ত হয় যাত্রীবাহী নৌযানে সদরঘাট থেকে ঈদের আগে ৫ দিন মালামাল/মোটরসাইকেল পরিবহণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ এবং ঈদের পরে ৫ দিন অন্যান্য নদীবন্দর থেকে আসা নৌযানে মালামাল/মোটরসাইকেল পরিবহণ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রাখতে হবে। রাতের বেলায় স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। দিনের বেলায় স্পিডবোট চলাচলের সময় যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করতে হবে।

ট্রেনে যাত্রা : করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ১১ এপ্রিলের পর থেকে ১০৪ আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সন্ধ্যায় রেলপথ সচিব মো. সেলিম রেজা যুগান্তরকে জানান, ১১ এপ্রিলের পরে আন্তঃনগর ১০৪টি ট্রেনের টিকিট বিক্রি সাময়িক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার রেলভবনে বিশেষ বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সচিব বলেন, ১১ এপ্রিলের আগের আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ অগ্রিম টিকিট অনলাইন, মোবাইল অ্যাপ ও কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হচ্ছে। আন্তঃনগর ট্রেনে ক্যাটারিং সেবা এবং রাত্রীকালীন বেডিং সরবরাহের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে- কিছু যাত্রী সামাজিক দূরত্বসহ নির্দেশনা মানলেও অনেকে আবার মানছেন না। কেউ তাদের কিছু বলছেনও না। স্টেশন প্ল্যাটফরমে দায়িত্ব পালনকারী রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য জানান, আমরা দূর থেকে তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। মাস্কতো পরিয়ে দিতে পারছি না। কেউ মানছেন, কেউ মানছেন না।

কেউ আবার বলছেন, তাদের কাছে নাকি করোনা-মরোনা কিছুই না। মাস্ক না পরে স্টেশনে প্রবেশ করলে জরিমানা করার কথা থাকলেও এমনটা চোখে পড়েনি। স্টেশনের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিংবা করোনা সুরক্ষাসামগ্রী চোখে পড়েনি। নির্দিষ্ট দূরত্বে সারিবদ্ধ ভাবে স্টেশনে প্রবেশ করার নিয়ম থাকলেও কেউ মানছেন না।

স্টেশনে থাকা এক কর্মকর্তা জানান, ৫ মাস আগে করোনাসামগ্রী ক্রয়ে ব্যাপক চুরি হওয়ায়- নতুন করে কোনো সুরক্ষাসামগ্রী কেনা হচ্ছে না। যেসব কর্মকর্তারা এ অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের কোনো বিচার হচ্ছে না। কিন্তু, সাধারণ যাত্রী এবং মাঠপর্যায়ে থাকা রেলওয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সুরক্ষা সামগ্রীবিহীন কাজ করছে। সুরক্ষাসামগ্রী দ্রুত তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান সংশ্লিষ্টরা।

রেলওয়ে মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার জানান, বৃহস্পতিবার এ নিয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করেছি। আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে সরকারের নির্দেশনাগুলো যাত্রীদের পালন করানোর চেষ্টা করব। কিন্তু এক্ষেত্রে যাত্রীরা সহযোগিতা না করলে যথাযথ ফল আসবে না। কোনো অবস্থাতেই যেন ৫০ শতাংশের চেয়ে বেশি যাত্রী কোনো ট্রেনে না উঠেন। তিনি বলেন, আলোচনা চলছে, পরিস্থিতি বুঝে সামনের আরও কী কী করণীয় তা করা হবে।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু বিকেলে

আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে তুরাগতীরে মুসল্লিদের ঢল

ডলার সংকট মেটাতে ডিজিটাল মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি

শাস্তির মুখোমুখি বিএনপির দুই মার্কিন লবিস্ট

জলবায়ু তহবিলে ১ বিলিয়ন ডলার দেবে ফ্রান্স

বিএনপি এখন হতাশায় আবোল-তাবোল বলছে : প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

সাত দিনে কমেছে চাল-ডাল ময়দাসহ ৯ পণ্যের দাম: টিসিবির প্রতিবেদন

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ : বাংলাদেশ ও ভারত সম্পর্কে হবে নতুন দিগন্তের সূচনা

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা সাম্রাজ্যবাদের যুগে প্রত্যাবর্তন, জাতিসংঘে ম্যাক্রোঁ