নিউজ ডেস্ক: দেশের সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও বিভিন্ন মামলার দণ্ড মাথায় নিয়ে লন্ডনে পলাতক। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনীতির চেয়ে যার যার সম্পদ ও ব্যবসা সামলাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, দলকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না তারেক। এছাড়া খালেদা ও তারেকের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। বিএনপির রাজনীতিতে কোনোদিনই খালেদার জায়গা নিতে পারবেন না তারেক। কারণ তারেকের কাছে রাজনীতি মানেই অর্থের লেনদেন।
বিশ্লেষকদের মতে, অতীতের নানা ভুল-ভ্রান্তির কারণে বিএনপি এখন রাজনীতির মূল স্রোত থেকে হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। বিএনপির রাজনীতিতে নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শের চরম অভাব রয়েছে। দল ও দলীয় নেত্রীর প্রতি তারা কেউই অনুগত নন। আর এ কারণেই বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়াকে আন্দোলন করে মুক্ত করতে পারেননি। তারা এখন নিজেদের সহায়-সম্পদ সামলাতেই ব্যস্ত।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সময়ের বিএনপির শীর্ষ ও প্রভাবশালী একজন নেতা বলেন, দলের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বুঝতে পেরেই নীরবতা পালন করছেন সিনিয়র নেতারা। দেশের রাজনীতিতে বিএনপি অপশনাল হয়ে পড়েছে, সেটি বুঝতে পেরেই উচ্চবাচ্য করতে রাজি নন মির্জা ফখরুলরা।
তিনি আরো বলেন, সাজার কারণে খালেদার রাজনীতি করারও সুযোগ নেই। আবার লন্ডনে বসে দলকে সঠিক নির্দেশনাও দিতে পারছেন না তারেক। নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণে প্রায় দিশেহারা বিএনপি। এ পরিস্থিতিতে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম নেই বললেই চলে। তাই রাজনীতি ছেড়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা যার যার আখের গোছাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।