নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা নেতাদের অবহেলা, অদক্ষতা ও অযোগ্যতার গ্যাঁড়াকলে পড়ে ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে গেছে বিএনপি। আর এ ব্যর্থতাকে কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর চাপাচ্ছেন বিএনপির তৃণমূল নেতারা। একই সঙ্গে অক্ষম নেতাদের পদ পরিবর্তন চান তারা।
তৃণমূল নেতাদের মতে, বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সিনিয়র ও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা, অদক্ষতা ও অযোগ্যতা লক্ষ্য করা গেছে। এসব নেতাদের ভয়-ভীতি, ব্যক্তিস্বার্থ বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামকে দুর্বল ও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তাদের এসব কর্মকাণ্ড ও তৎপরতাকে সাংগঠনিকভাবে গুরুতর অপরাধ বলে গণ্য করা উচিত। এ ধরনের নেতাকর্মীদের কারণেই আন্দোলন করতে পারে না বিএনপি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকায় প্রত্যাশিত কর্মসূচি পালন হয়নি। ঢাকার আন্দোলন সফল হলে তার সুফল আমরাও পেতাম। আন্দোলনে কেন্দ্রীয় নেতারা ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
তারা বলেন, যারা দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও সরকারবিরোধী ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তাদেরকে দল থেকে সরে যেতে হবে।
গুলশানের লেকশোর হোটেলে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সূচনা অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বলেন, আমাদেরকে অলসভাবে বসিয়ে রাখবেন না। ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত করে আমাদের দায়িত্ব দিন।
একই অনুষ্ঠানের দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা এখন বুড়ো হয়ে গেছি। হয়তো সক্রিয়ভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে আর আগের মতো সশরীরে থাকতে পারবো না। আমাদের অভিজ্ঞতা আপনাদের কাজে লাগাতে পারবেন।
এ বিষয়ে একাধিক বিএনপিপন্থী রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আন্দোলন সংগ্রামে সফল হওয়ার জন্য তরুণ, দক্ষ এবং চৌকষ নেতা প্রয়োজন। বিএনপিতে এখন সেই ধরনের নেতার বড়ই অভাব।
তারা বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটি এখন বয়স্ক ও অসুস্থ নেতাদের দিয়ে ভরা। যারা আন্দোলন-সংগ্রামে ঘর থেকে বের হতে পারেন না, কোনো কর্মসূচিতে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না, তাদের দিয়ে অন্তত আন্দোলন-সংগ্রাম সম্ভব নয়। তাই বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে এখন সংস্কার দরকার। এছাড়া দলের দায়িত্ব প্রতিটি নেতার ওপর দিতে হবে। শুধুমাত্র লন্ডন বার্তার জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে প্রত্যেককে সিদ্ধান্ত নেয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে।