মিলা হোসেন ২০০১ এর লাক্স আনন্দধারা ফটো সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পরে তিনি ব্যাপকভাবে অভিনয় জগতে আসেন। অভিনয় এবং বিজ্ঞাপন করা শুরু করেন তিনি। সে সময় সামির নজর পড়ে মিলা হোসেনের ওপর। তাকে বিভিন্ন সময় টিজ করা শুরু করে সামির লোকজন।
এ সময় মিলা হোসেনকে বড় বড় কাজ পাইয়ে দেয়া হবে, বড় নাটকে অভিনয় করতে দেয়া হবে, সিনেমায় নেয়া হবে বলে নানা প্রস্তাব দিতে থাকে সামি। কিন্তু সামির এ সমস্ত প্রস্তাবে গায়ে মাখেননি মিলা হোসেন।
এক পর্যায়ে মিলা হোসেনকে উ’ত্যক্ত করা এবং ভ’য় দেখানো শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ে মিলার আজিমপুরের বাসায় নজরদারি শুরু করে সামির লোকজন। এভাবে একসময় সামির কারণে জীবন দু’র্বিষহ হয়ে ওঠে এই তারকার।
এরকম অবস্থায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই মিলা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক ব্যক্তিকে বিয়ে করে আমেরিকায় পাড়ি জমান। শুধু মিলা হোসেনই নয়, এরকম বহু তারকার জীবন দু’র্বিষহ করে তোলে আল-জাজিরার কথিত সাক্ষী সামি।
ইপ্সিতা শবনম শ্রাবন্তী। এখন তিনি নিউইয়র্কে তার দুই কন্যাকে নিয়ে এক প্রকার জীবন যাপন করছেন। কিন্তু এই শ্রাবন্তী ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে হার্টথ্রব অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন। নাটকের বাজারে তার একচেটিয়া জনপ্রিয়তা ছিলো।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০২ সালে হঠাৎ করেই এই শ্রাবন্তীকে বাংলাদেশ টেলিভিশন নিষি’দ্ধ করে। খোঁজ নিলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শ্রাবন্তী বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের একটি ছবি পা দিয়ে মাড়িয়েছিলেন আর এজন্য তাকে নিষি’দ্ধ করা হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তীতে শ্রাবন্তী বলেছিলেন আসল ঘটনা অন্য।
এখন যিনি ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ প্রামাণ্যচিত্রে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন হাঙ্গেরিতে থাকা সামি তখন চ্যানেল ওয়ান এর একজন ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন। গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ওরফে খাম্বা মামুন এবং তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলো সামি কিন্তু তার মূল ব্যবসায় ছিলো তারেক এবং মামুনকে নারী সাপ্লাই দেয়া।
সামি ছিলেন চ্যানেল ওয়ান এর ইভেন্ট ডিরেক্টর। খাম্বা মামুন যৌথবাহিনীর কাছে দেয়া লিখিত স্টেটমেন্টে বলেছেন- ‘সামি আমার এবং তারেকের কাছে অদিতি সেনগুপ্তকে নিয়ে আসেন। আমি জেনেছিলাম সামির ‘এক্সেল ইভেন্ট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে। বিদেশী নায়ক নায়িকাদের সাথে তার যোগাযোগ আছে। পরে সামিকে আমি চাকরী দেই।’
এই সামির মাধ্যমেই বাংলাদেশে গোপন অভিসারে এসেছিলেন ভারতীয় জনপ্রিয় নায়িকা শিল্পা শেঠী। তিনি দু’রাত গাজীপুরের ‘খোয়াব ভবন’-এ কাটিয়ে গেছেন।
যারা নাট্যজগত এবং সিনেমা জগতে জনপ্রিয় ছিল, তাদেরকে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিতেন এবং তাতে রাজি না হলে তাদেরকে নানাভাবে ভ’য় দেখানো হতো। তাতেও যদি তারা রাজি না হতো, তাহলে তখন তাদেরকে নিষি’দ্ধ করে দেয়া হতো। ঠিক তেমনি নিষি’দ্ধ হয়েছিলেন ইপ্সিতা শবনম শ্রাবন্তী।
পরবর্তীতে অবশ্য টেলিহোমের কর্ণধার মোহাম্মদ আলী বশিরের দেনদরবারে বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে ইপ্সিতা শবনম শ্রাবন্তীর নিষে’ধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিলো।
কিন্তু শ্রাবন্তী যখন আল জাজিরার ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ এই ভিডিও দেখন তখন সামিকে দেখে আঁতকে উঠলেন। কারণ সামির চেহারা তিনি কখনও ভুলতে পারছেন না। বিষয়টি জানা গেছে শ্রাবন্তীর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র থেকে। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি। বাংলাইনসাইডার।