নিউজ ডেস্ক
: বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বারবার আলোচনায় ডেভিড বার্গম্যান। এখন বিদেশে বসে জামায়াতের লবিস্ট হয়ে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছেন। এজন্য জামায়াত অর্থলগ্নি করেছে ৫০ কোটি ডলার। এমন তথ্য দিয়েছেন বিশিষ্টজনরা। মেয়ে জামাইয়ের এমন বিতর্কিতকাণ্ডে আইন প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
ডেভিড বার্গম্যান। ছিলেন ব্রিটেনের অখ্যাত একটি পত্রিকার সাংবাদিক। ১৯৮৬ সালের ভারতের ভোপালে গ্রেফতার হওয়ার পর আলোচনায় আসেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, যে প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে ভোপালে দুর্ঘটনায় কয়েকহাজার মানুষ মারা যায় তাদের পক্ষে কাজ করার দায়ে বার্গম্যানকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
ভোপালকাণ্ডের পর বার্গম্যান বনে যান যুদ্ধাপরাধ গবেষক ও মানবাধিকারকর্মী হিসেবে। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে আল-জাজিরা হয়ে একের পর এক বিতর্কিত প্রতিবেদন করেন এই বার্গম্যান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে দণ্ডিতও হয়েছেন তিনি। অভিযোগ রয়েছে, জামায়াতের টাকা খেয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের।
বিশিষ্টজনরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে উৎখাত করতে কয়েকশো মিলিয়ন ডলারের প্রজেক্ট নিয়ে মাঠে নেমেছে জামায়াত-বার্গম্যানরা।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ওদের যে জামায়াতের আইনজীবী কিট ক্যাডমেন আছেন। তাদের সাথে মিলে সে (বার্গম্যান) ষড়যন্ত্রটা আরও জোরাল করার চেষ্টা করেছেন। এই ষড়যন্ত্র কিন্তু আজকে থেকে না। গত কয়েক বছর ধরে এটা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বার্গম্যান আইনপ্রণেতা ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেনের স্বামী। তার এমন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে শ্বশুরের সমর্থন রয়েছে বলেও মনে করেন অনেকে।
তথ্যমন্ত্রী ডা. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা সব সময় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সে চক্রের নেতৃত্বে আছে অনেকে। সেখানে আমাদের সুনামধন্য আইনজীবী কন্যার জামাইও আছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেগুলোরই প্রতিফলন।
এছাড়া আল-জাজিরার কথিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে বাংলাদেশি যারা সহযোগিতা করেছে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।