নিউজ ডেস্ক:
২০০৮ সালের পর লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির বিতর্কিত ও সাজাপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে বিরক্ত স্ত্রী জোবায়দা রহমান। তারেকের পরকীয়া, নিয়মিত মদ্যপান করে শারীরিক নির্যাতন, পরনারী প্রীতির মতো অপকর্মগুলো দীর্ঘদিন সহ্য করলেও শেষ পর্যন্ত কোনো রাখঢাক না করেই শাশুড়ি বেগম জিয়ার কাছে অভিযোগ করেছেন জোবায়দা। জানা গেছে, তারেক রহমানকে বুঝিয়ে এসব অপকর্ম থেকে দূরে রাখতে না পারলে দুই কন্যাকে নিয়ে আত্মীয়ের বাসায় আলাদা থাকবেন বলেও খালেদাকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন পুত্রবধূ জোবায়দা।
লন্ডনের কিংস্টনকেন্দ্রীক একাধিক গোপন সূত্র বলছে, ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যে আসার পর থেকেই তারেক রহমানের লাইফস্টাইল চেঞ্জ হতে শুরু করে। শুরুতে অল্পবিস্তর মদ্যপান করলেও দিন যাওয়ার সাথে সাথে হার্ড ড্রাংকার পরিণত হন তারেক। প্রতি রাতে মদ না গিললে ঘুম হয়না তার। এর সাথে যুক্ত হয়েছে বারে গিয়ে জুয়া খেলার প্রবণতা। তবে সবচেয়ে জঘন্য বিষয় হলো পরকীয় ও পরনারী প্রীতি। গুঞ্জন রয়েছে, রাজনীতি ও পদ-বিতরণের নামে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপ বিএনপির একাধিক নারী নেত্রীর সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তারেক। বিশেষ করে ২০২০ সালে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেত্রী ডালিয়া লাকুরিয়ার সাথে তারেক রহমানকে জড়িয়ে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলে বিভিন্ন সময়ে। আর বিষয়গুলোর নিয়ে লন্ডনের নানা মহলে আলোচনা হলে সাংসারিক অশান্তি শুরু হয় তারেক-জোবায়দার মধ্যে।
সাংসারিক অশান্তি, অবিশ্বাস এতোটাই তীব্র হয় যে তারেক রহমান প্রতি রাতে মদ্যপান করে জোবায়দা রহমানকে মারধর করেন। পরকীয় ও পরনারী প্রীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় জোবায়দার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন তারেক। কিন্তু আর অত্যাচার সহ্য করতে চান না জোবায়দা। এর একটা সমাধান চান তিনি। আর সেই লক্ষ্যে ৩০ জানুয়ারি বেগম জিয়াকে ফোন করে কোনো রাখঢাক না রেখেই তারেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন জোবায়দা। আর আগামী সাত দিনের মধ্যে এই সমস্যার বিহিত করতে না পারলে তারেকের বাড়ি ছেড়ে লন্ডনের অদূরে পরিচিত এক আত্মীয়র বাসায় কন্যাদের নিয়ে আলাদা থাকবেন জোবায়দা-এমন প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়েছেন খালেদাকে। এখন দেখার বিষয় বেগম জিয়া তার বিতর্কিত সন্তান তারেক রহমানের বদ অভ্যাস দূর করে সংসারের অশান্তি দূর করতে পারেন কিনা।