নিউজ ডেস্ক : ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবাস শুরু হবার পর থেকে অনেকটা ফুরফুরে মেজাজে ছিলো তারেক রহমানপন্থী বিএনপি নেতারা। কারাবাসে খালেদা জিয়া যাওয়ার পর অনেকেই তারেক রহমানকে বিএনপির প্রধান হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তারেক রহমানের নির্দেশনা মানতে চাইছেন না বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলামপন্থী নেতারা।
এ প্রসঙ্গে উক্ত নেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, বিএনপিকে গতিশীল করার নানা চেষ্টা করা হলেও তারেক রহমানের নেতৃত্বে কোনো ফলাফল আসছে না। বিএনপি পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে নেতাদের ‘এক নেতা এক পদ’ নীতি বাস্তবায়ন করার কথা বলা হলেও সেদিকে নজর নেই কারো। অনেকেই একাধিক পদ আঁকড়ে বসে আছেন। তবে এ বিষয়ে তারেক রহমানের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কারণ যারা একাধিক পদে আছেন, তারা সকলেই তারেক রহমানের আস্থা ভাজন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১৯ সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। সে কমিটির সকলেই তারেক পন্থী নেতা ছিলো। তাদের ৩ মাসের মেয়াদ শেষ। এছাড়া বেশিরভাগ জেলার থানা-উপজেলায় কোনো কমিটি নেই। যেখানে হয়েছে সেখানে নিজের অনুসারী ছাড়া অন্য কাউকে শীর্ষ পদ দেয়া হয়নি।
জানতে চাইলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার কাজ চলছে। কোথাও কোনো অভিযোগ থাকলে তা দেখতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে একাধিক টিম কাজ করছে। সবাইকে বুঝতে হবে, মামলা-হামলাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হচ্ছে। তার মানে এই যে তারেকপন্থী নেতাদের প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। মির্জা ফখরুলের আস্থা ভাজন অনেক নেতাকেই কমিটিতে স্থান দেয়া হয়।
এ বিষয়ে মির্জা ফখরুলপন্থী এক নেতা বলেন, নেতৃত্ব যখন দুর্বল হয়, তখন পুরো দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নেতিয়ে পড়ে। আর যখন যে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নেতিয়ে পড়ে তখন বুঝতে হয় সে দলের নেতৃত্বে গলদ রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে কিছু বলার নেই। পদ আঁকড়ে ধরলেই যদি তারা বেঁচে থাকে তবে তারা পদ নিয়েই বাঁচুক দল গোল্লায় যাক। যদিও তাদেরও দোষ দেওয়া যায় না – লবিং তো হয় হাইকমান্ড থেকে! নেতাদের মাথায় তুললে যা হয় আরকি।