নিউজ ডেস্ক: একদিকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক অবস্থান অস্পষ্ট, অন্যদিকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে দলের ভেতর অশান্তি। এ অবস্থায় দলকে বাঁচাতে তৃণমূল পর্যায় থেকে দাবি উঠেছে ত্যাগী ও প্রবীণ একজনকে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়ার। সায় দিচ্ছেন দলটির সিনিয়ররাও।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ভেতরে বিভক্তির বিষয়টি এখন তৃণমূল পর্যন্ত উচ্চারিত হচ্ছে। সে কারণেই দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, এমন একজন ব্যক্তিকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া উচিত যিনি সার্বক্ষণিকভাবে দলের দেখভাল করবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাংগঠনিকভাবে বিএনপি নানা সমস্যায় জর্জরিত। দলের শীর্ষ দুই নেতৃত্ব অকেজো হওয়ায় দল চালাতে হিমশিম খাচ্ছে বিএনপির হাইকমান্ড।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য বিএনপির উচিত কাউকে কেয়ারটেকার নিয়োগ করা। যিনি আপদকালীন সময়ে নানা জঞ্জাল পরিষ্কার করে বিএনপিকে একটি সাংগঠনিক অবস্থায় দাঁড় করাবেন। তবে পরিবর্তনের কারণে সেটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হবে কিনা, এ নিয়েও রয়েছে সংশয়।
এ বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও বুদ্ধিজীবীরা বলেন, বিএনপির মধ্যে এখন আর ত্যাগী নেতা নেই। সবাই স্বার্থের জন্য রাজনীতি করেন। দলের চেয়ারম্যান হিসেবে যে কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে, তাদের প্রতিও কারো শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস নেই।
তাদের মতে, বিএনপির উচিত ছিল আরো অনেক আগেই দলের ক্ষমতা জিয়া পরিবারের বাইরে কারো ওপর ন্যস্ত করা। দলের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে মামলা ও তাদের অদক্ষ নেতৃত্বের কারণে দলের এ পরিস্থিতি। বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে কেন্দ্রেও বড় সংস্কার দরকার বলে মনে করেন তারা।
জানতে চাইলে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমেদের মতো নেতাদের কাজ কী? আপদকালীন সময়ে তারা কি দলের দায়িত্ব ভাগ নিতে পারেন না?