নিউজ ডেস্ক
: সাড়ে ১৭ কোটি টাকার আয়কর ফাঁকির মামলায় আদালত কর্তৃক নয় বছর কারাদণ্ড ও অস্ত্র মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত লন্ডন পলাতক আসামি চাকরিচ্যুত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খানের মিথ্যাচার থামছেই না।
বর্তমানে শহীদ উদ্দিন খান যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক আরেক রাষ্ট্রদ্রোহী কনক সারওয়ারের অবৈধ ইউটিউব চ্যানেলে বসে সরকারের বিরুদ্ধে নানা প্রকারের মিথ্যাচার করছেন। যেটি রীতিমত ভণ্ডামির পর্যায়ে পড়ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চাকরিচ্যুত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান তিন অর্থবছরে ১৭ কোটি ৬ লাখ ৪০ হাজার ১০৭ টাকা আয়কর ফাঁকি দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে বিদেশে অবস্থান নিয়েছে। যার কারণে আদালত তাকে নয় বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। তিনি অস্ত্রপাচার ও চোরাকারবারির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। অতঃপর তিনি লন্ডনে পালিয়ে যান। কর্নেল থাকাকালীন অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক কাজী নওশাদকে ৭ বছর হয়রানি করেছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অনিয়মের অভিযোগ থাকার পর বর্তমানে তিনি দেশের নামে মিথ্যা কুৎসা রটাতে একটি বেনামি ইউটিউব চ্যানেলে শরণাপন্ন হয়েছেন। বিষয়টি নিতান্তই দুঃখজনক।
এদিকে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান সম্পর্কে বেশকিছু তথ্য প্রকাশ করে ইংল্যান্ডের জাতীয় দৈনিক দ্য সানডে টাইমস।
২৬ মে পত্রিকাটিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র ব্যবসা ও জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি শহীদ উদ্দিন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ইংল্যান্ডের টোরি পার্টির ফান্ডে ২০ হাজার পাউন্ড অনুদান দিয়েছেন।
এতে আর বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে বরখাস্ত এ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদে মদদ দেয়া, অস্ত্র ব্যবসা, প্রতারণা ও অর্থ পাচারের একাধিক মামলা রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার ঢাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে জিহাদি বই, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে বাংলাদেশের কাউন্টার টেরোরিজম পুলিশ।
মূলত শহীদ উদ্দিন খানের এমন অপকর্ম কখনোই সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের দ্বারা সমর্থন যোগ্য নয়। অনিয়মে ভরা দুর্নীতিগ্রস্ত পাকিস্তানের এই এজেন্ট নিজের বিরুদ্ধে প্রচার হওয়া সত্য অভিযোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করে একটি পক্ষের সুবিধা গ্রহণের কাজে লিপ্ত হয়ে এমন মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।