তারেকের কর্তৃত্ব বিএনপির সিনিয়ররা মানতে চাইছেন না

নিউজ ডেস্ক:
বর্তমানে বিএনপির সিনিয়রদের বেশিরভাগই খালেদাপন্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন- ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এরা তারেকের কর্তৃত্ব তেমন একটা মানতে চাইছেন না। তাই তারা দলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির সমাবেশে আমানউল্লাহ আমান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের মতো নেতাদের মুখ দেখা গেলেও সিনিয়র নেতাদের দেখা যায়নি। মোট কথা, বিএনপির এসব সিনিয়র নেতারা এক ধরনের মৌনব্রত পালন করছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর ধরে দলের এ সমস্ত ‘বুড়োদের’ নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টায় আছেন তারেকপন্থীরা। তাদের দাবি, এসব সিনিয়র নেতারা দলের বিভিন্ন পদ দখল করে থাকলেও কোনো কাজ করছেন না। এদের দিয়ে আন্দোলন করা সম্ভব নয়। আর এ নিয়ে দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব, বিরোধ এবং বিভক্তি হওয়ায় বিএনপিতে ক্যু হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।
পরিচয় গোপন করা শর্তে বিএনপির এক তরুণ নেতা বলেন, সিনিয়র নেতারা দলের হয়ে কোনো কাজ করছেন না। তারা বয়সের ভারে ক্লান্ত। তাই এখন ঘরে থাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন তারা। এদের দিয়ে রাজপথের আন্দোলন হবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এসব সিনিয়র নেতাদের নিয়ে তারেকের সঙ্গে খালেদা জিয়ার এক ধরনের মতবিরোধ বিএনপিতে দৃশ্যমান। যখন নতুন করে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে, তখন নীরবে বিএনপিতে অভ্যুত্থান হচ্ছে বলে একাধিক নেতা স্বীকারও করেছেন। সিনিয়র নেতাদের দিকে তাকিয়ে না থেকে বিএনপি এখন রাস্তায় সহিংস পথে যাবে, যা তারেক জিয়ার আরেকটি হঠকারিতা। এভাবে হঠাৎ করে আন্দোলন হয় না। আন্দোলনের জন্য পরিস্থিতি ও পরিবেশ লাগে। কিন্তু সেটি না করে যদি এ ধরনের হঠকারিতা করা হয় তাহলে পুরো দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নিজেদের মধ্যে ক্যু ঘটবেই।