সিলেট নগরের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে মো. রায়হান আহমদ (৩৪) নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) পরিবর্তন করা হয়েছে। মামলাটির আইও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ায় তাঁর স্থলে আজ মঙ্গলবার আরেকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মামলাটির আইও ছিলেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সিলেট কার্যালয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম। তাঁর স্থলে একই সংস্থার পরিদর্শক আওলাদ হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সিলেট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচজন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্তে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।
মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান, এসপি, সিলেট পিবিআই
গত ১০ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে রায়হানকে নির্যাতন করে পুলিশ। এতে পরদিন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। নগর পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া যায়। এতে জড়িত সন্দেহে বন্দরবাজার ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঞাসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় ১৩ অক্টোবর থেকে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর হয়।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, পিবিআইয়ের পরিদর্শক মহিদুল ইসলামকে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তাঁর সঙ্গে আরও তিনজন পরিদর্শক তদন্ত সমন্বয় করছিলেন। তদন্তকালে মহিদুলের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। ২৯ অক্টোবর থেকে তাঁর জ্বর ও কাশি অনুভূত হলে তদন্তসংশ্লিষ্ট আরও তিনজন পরিদর্শক ও একজন কনস্টেবলের মধ্যে তা ছড়ায়। গত শনিবার সকালে তাঁরা পরীক্ষার জন্য নমুনা দিলে রাতে তাঁদের করোনা শনাক্ত হয়। রোববার থেকে তাঁরা আইসোলেশনে আছেন।
সিলেট পিবিআইয়ের এসপি মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান আজ রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তাসহ পাঁচজন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। চাঞ্চল্যকর মামলাটির তদন্তে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।