নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হয়ে ছাত্রদের প্রতিনিধিত্ব করা বাদ দিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লোভ শুরু থেকেই ছিলো নুরুল হক নুরের। জনসমর্থন আদায় করতে ছাত্রপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ নিয়েছেন তিনি। আর সস্তা জনপ্রিয়তা পেতে তিনি ভারত বিরোধিতা ও ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের সাথেও জড়িত নুর। তাই দেশ ও দশের স্বার্থে ভণ্ড নুরকে প্রত্যাখ্যান করা উচিত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দেশের রাজনীতিতে হঠাৎ করে নুরের আগমন ঘটেছে। আর নুর যেভাবে ভুল পথে রাজনীতি করছে, তাতে হঠাৎ করেই সে রাজনীতিতে জনসমর্থন হারিয়ে মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। কারণ নুরের ভিত্তি দুর্বল, অভিজ্ঞতা ও জনসমর্থন কম। আর যেহেতু তার দ্রুত উত্থান হয়েছে সুতরাং তার দ্রুত পতনও ঘটতে পারে। ডাকসুর মেয়াদ শেষে সাবেক হয়ে যাওয়া ভিপি নুর পুরাদস্তুর জাতীয় রাজনীতির চর্চা শুরু করেছেন। জাতীয় রাজনীতিতে তার প্রকাশ্য কোনো অভিভাবক না থাকলেও, বিএনপি-জামায়াত জোটের রাজনীতি নিয়ে পুরোদমে মাঠে নেমেছে নুরের সংগঠন। অবশ্য অন্যের উপর ভর করে রাজনীতি করতে গেলে হিতে বিপরীতও হয়। বিএনপি-জামায়াত প্রয়োজন শেষ হলে নুরকে ছুড়ে ফেলতে দেরি করবে না। বিএনপি-জামায়াত নুরকে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ায় সাবেক ভিপি নুরকে তারা এখন সহায়-সম্বল মানছে। নুরই যেন তাদের শেষ আশা। বিএনপি-জামায়াতও পরাশ্রয়ী রাজনীতি করছে।
নুরের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির এক সিনিয়র নেতা পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বলেন, নুর সময়ের সবচেয়ে আলোচিত নেতা। জাতীয় অনেক নেতাকে তিনি ছাপিয়ে গেছেন। এছাড়া যেহেতু অনেক চেষ্টা করেও জনগণকে জাগিয়ে তুলতে পারছি না, তাই নুরকে সমর্থন দিচ্ছি আমরা। তবে আমরা সরাসরি নুরের উপর নির্ভরশীল নই। নুর যা করবেন বা করছেন, তা কিন্তু বিএনপিরও চাওয়া।