নিউজ ডেস্ক:
প্রতিটি নির্বাচনের দিন দুপুরে বিএনপি প্রার্থীদের ভোট প্রত্যাখ্যানের সংস্কৃতি দীর্ঘদিনের। আওয়ামী লীগের জনসমর্থনের কাছে কোনভাবেই ঠিক টিকতে না পেরে প্রতিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে দলীয় হাইকমান্ড থেকে তৃণমূলের সুবিধাভোগী বিএনপি নেতারা। জন সমর্থন হারিয়ে কোণঠাসা বিএনপি দোষারোপ করেই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আবার জিতে গেলে আরো বেশি ভোট পাওয়ার প্রত্যাশা করে বিএনপির প্রার্থীরা।
পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, বিএনপির নানা দুর্বলতা রয়েছে। দলটির যে জায়গায় কাজ করা উচিত, তারা সেই জায়গায় কাজ করছে না। ফলে তারা আশানুরূপ ফলও পাচ্ছে না।
প্রতিটি নির্বাচন শেষে পরাজয়ের কারণ হিসেবে সরকারকে দোষারোপ করছে বিএনপি। কিন্তু দলটির নেতারা নিজেদের ভুলগুলো স্বীকার করতে চায় না। এটিও নির্বাচনে হেরে যাওয়ার বড় একটি কারণ। নিজেদের ভুল স্বীকার করে, সে অনুসারে কাজ করলে কার্যত সফলতা আসতে পারে।
নির্বাচনে পরাজয়ের অন্যতম কারণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে অনেকেই সমর্থন করেননি। এমনকি প্রচারণার কাজে মাঠেও থাকেননি। এ দেখে দলীয় ভোটারের পাশাপাশি সাধারণ ভোটাররাও বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বিএনপির হেরে যাওয়ার আরো একটি বড় কারণ হচ্ছে জোটে থাকা দলগুলোর অসহযোগিতা। কেন্দ্র থেকে বারবার জামায়াত নেতাদের কাছে দেন-দরবার করেও কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। জামায়াত ইসলামীর স্পষ্ট ভাষ্য, কোনো নির্বাচনে বিএনপিকে আর সমর্থন দেয়া হবে না।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সাংগঠনিক সমন্বয়হীনতার ও দলীয় অনৈক্য বিএনপির রাজনীতি আজ বিলীন প্রায়। শুধু তাই নয়, মাঠের রাজনীতিতেও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন এই রাজনৈতিক দলটি সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। যারই প্রতিচ্ছবি বিগত অনুষ্ঠিত সবগুলো নির্বাচনের শোচনীয় পরাজয়।