তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে যেমন জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত, ৩ নভেম্বরের খুনের সঙ্গেও জিয়া ও তার খুনি চক্র যুক্ত। এ জন্যই বিএনপি জেলহত্যা দিবসে শোক প্রকাশ করে না। আর এখন হরতাল-অবরোধ ডেকে তারা যে ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তা চোর-ডাকাতের চেয়েও জঘন্য এবং তারা আসলে জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৯৭৫ সালের আগস্টে দেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নভেম্বরের ৩ তারিখে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় স্বাধীনতার অগ্রপথিক জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যার ৪৮তম বার্ষিকীতে শুক্রবার সকালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ও বনানী কবরস্থানে শহিদ জাতীয় নেতাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বনানীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী।
জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, তারা আজীবন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহকর্মী ছিলেন, মরণেও তারা সহযাত্রী হয়েছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়েও তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে বেইমানি করেননি, শত প্রলোভনেও আদর্শ বিচ্যুত হননি। আদর্শের জন্য, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা শিখিয়েছেন জাতীয় চার নেতা।
সমসাময়িক বিষয়ে প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবর যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে, পৃথিবী থেকে সেটির প্রতিবাদ এসেছে। এরপর আবার ৩ দিন অবরোধ ডেকে তারা সাধারণ জনগণের ওপর, তাদের গাড়ি-ঘোড়ার ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। চোর-ডাকাতেরাও চুরি কিংবা ডাকাতি করে, কিন্তু জীবন্ত মানুষ ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ায় না।
‘জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এইসব সন্ত্রাস রুখে দিতে ও সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর’ প্রত্যয় ব্যক্ত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যে আবার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে, এ সময় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলব।