সরকার পতনের অযৌক্তিক একদফা দাবিতে কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৮ অক্টোবর জনসমাবেশ করেছে বিএনপি। এই মহাসমাবেশে ব্যাপক লোকসমাগমের প্রস্তুতি হবে জানিয়ে এলাকায় এলাকায় মাইকিংও করেছে একাধিকবার। কিন্তু সমাবেশের দিন লোকের সংখ্যা ছিলো হাতে গোনার মতো। ১৮ অক্টোবর দুপুর থেকে এক এক করে নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা নয়াপল্টনে জমায়েত হয়। নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত রাস্তার একপাশ সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে সব মিলিয়ে ৫ শতাধিক কর্মী উপস্থিত হয় বলে খবর পাওয়া যায়।
যদিও এ সমাবেশকে সফল বলে প্রচার করতে চাচ্ছে বিএনপি। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেন, এক সময় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মিছিল করলে ১৭ জন কর্মী উপস্থিত হতেন। এখন বিএনপির সমাবেশে ৫’শতাধিক কর্মীর উপস্থিতি প্রমাণ করে, বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালি হয়েছে। অনেকে বলছেন, বিএনপি নাকি দুর্বল। তাদের কাছে অনুরোধ নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে দেখে যান, ৪ থেকে ৫ শতাধিক কর্মীর উপস্থিতি হয়েছে। যা প্রমাণ করে, বিএনপি একটি গুরুত্বপূর্ণ দল।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিএনপির সমাবেশ শুরু হয় বুধবার বেলা দুইটায়। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনের সড়কে নির্মিত অস্থায়ী মঞ্চে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি। সমাবেশে দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেন।