logo
Sunday , 21 May 2023
  1. সকল নিউজ

ঝিমিয়ে পড়া বিএনপিতে চলছে অর্থের অভাব

প্রতিবেদক
admin
May 21, 2023 9:24 am

বছরকে বছর ঝিমিয়ে চলার পর বিএনপিতে গতিশীল নেতৃত্ব বাছাইয়ে ‘সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা’ হাতে নেয় হাইকমান্ড। তৃণমূলসহ অঙ্গদলগুলো শক্তিশালী করতে আলাদা ‘সার্চ কমিটি’ও গঠন করা হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা ‘সরকারের প্রতিবন্ধকতা’ উপেক্ষা করে তৃণমূলে সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেন। কিন্তু গ্রুপিং রাজনীতির কারণে অনেক ইউনিটে কমিটি গঠনের সক্ষমতা থাকলেও তা আর হয়নি। কেন্দ্র থেকে আহ্বায়ক কমিটি চাপিয়ে দেওয়া হয়। এ ‘পকেট’ কমিটি নিয়ে তৃণমূলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। কোথাও কোথাও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। শুধু বিএনপিই নয়, দলের অঙ্গ সংগঠনগুলোতেও গ্রুপিং রাজনীতির শিকার হচ্ছেন ত্যাগীরা।

অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাদের কোণঠাসা করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার কেন্দ্রীয় নেতারা নিজেদের পছন্দে থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের ঢাকায় ডাকেন। একতরফা কমিটি করেন। তদবির-লবিংয়ের মাধ্যমে ‘সুপার ফাইভে’ জায়গা করে নিচ্ছেন অপেক্ষাকৃত দুর্বলরা। ফলে ত্যাগী, যোগ্য ও পরীক্ষিত অনেকেই বাদ পড়ে যাচ্ছেন। প্রভাবশালীদের ‘নয়ছয়ে’ আবার কোনো কোনো কমিটির পুনর্গঠনও আটকে যাচ্ছে।

অঙ্গদলগুলোতেও কমিটি গঠন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া যে দুই-একটা সংগঠন কিছু ইউনিট কমিটি ঘোষণা করে। তাতেও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত দুর্বল নেতাকর্মীদের পদায়ন করা হচ্ছে। ফলে ত্যাগী নেতাকর্মীরা প্রত্যাশিত পদ না পেয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রামের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট ঢাকা মহানগর। এ কমিটি নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়েছে। প্রভাবশালী নেতাদের গ্রুপিংয়ের কারণে কমিটি ঘোষণা বিলম্বিত হচ্ছে।

জানা গেছে, মহানগর কমিটি নিয়ে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে এক প্রভাবশালী নেতা আলোচনা করেন। এক নেতার বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যানের ‘সায়’ থাকলেও বিএনপিপ্রধান তাকে চাচ্ছেন না। তার পছন্দ তরুণ নেতৃত্ব। ফলে দুই দফা কমিটি চূড়ান্ত করা হলেও ঘোষণা হচ্ছে না। আবার কেউ বলছেন, চেয়ারপারসনের সম্মতি নিয়েই মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হবে। তিন-চার দিন হলো দায়িত্বশীল এক নেতার কাছে কমিটি জমা আছে। যে কোনো সময় ঘোষণা আসতে পারে।

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন হচ্ছে বলে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা হচ্ছে। দলের নেতাকর্মীরাও অবগত। দলের ‘ভ্যানগার্ড’ খ্যাত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রদলের শীর্ষ নেতৃত্ব বাছাই করা হলেও দুই বছরে তারাও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি। বিএনপির অঙ্গসংগঠন ৯টি আর সহযোগী সংগঠন দুটি। এসবের মধ্যে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল মেয়াদ শেষ করেছে সুপার ফাইভ কমিটি দিয়েই। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আংশিক কমিটি ঘোষণা করে এ দুই অঙ্গসংগঠন। এদিকে সদ্য ঘোষিত মহানগরীর চার ইউনিট কমিটি গঠন নিয়ে আর্থিক লেনদেনসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। তবে বর্তমান নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে না পারলেও প্রথমবারের মতো পৌর, উপজেলা ও কলেজ শাখায় ১ হাজার ৪৩১টির মতো কমিটি দেওয়া হয়েছে। সমমর্যাদার মাত্র দুই শতাধিক কমিটি গঠন বাকি আছে। তবে ১৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে মাত্র ঢাকা জেলা উত্তর, ঢাকা জেলা দক্ষিণ, খুলনা মহানগর, চট্টগ্রাম মহানগর, সুনামগঞ্জ, নরসিংদী ও টাঙ্গাইল জেলার আহ্বায়ক কমিটি দিতে পেরেছে ছাত্রদলের বর্তমান নেতৃত্ব। এছাড়া ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৯টি মেডিকেল কলেজ শাখার কমিটিও হয়েছে বলে জানা গেছে।

শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে যাচাই-বাছাই করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনিয়মের কোনো ভিত্তি নেই। কেউ পদ না পেলেই নানা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, যোগ্যরাই কমিটিতে পদায়ন হন। আবার যোগ্যরাই বাদ পড়ছেন। একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কমিটি গঠন করা হয়।

২০১৭ সালের ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে সাইফুল আলম নীরবকে সভাপতি ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সুপার ফাইভ কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে প্রতিকূল অবস্থায় দল পরিচালনা করছি। সরকারের বাধা-প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করেই দল ও অঙ্গসংগঠনের কমিটি পুনর্গঠনের কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু অর্থের অভাবে আমরা স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারছি না। তারেক রহমানকে প্রতিমাসে প্রচুর ভর্তুকি দিতে হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দলে কোনো সংকট নেই। অর্থের অভাবে কোনো কিছুই ঠিকঠাক চলছে না। এছাড়া দেশে তো রাজনীতিই নেই। সুষ্ঠুভাবে সংগঠন করারও সুযোগ সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই তাদের কোনো দায়বদ্ধতাও নেই।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল বলেন, ‘দল থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে তা আমরা পালন করে যাচ্ছি। চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও অর্থাভাবে কারণে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছি। এর মধ্যে অনেক ওয়ার্ড ও থানার কমিটি দিয়েছি। হাইকমান্ডের নির্দেশেই বাকিগুলো দেওয়া হয়নি। এখন যদি হাইকমান্ড মনে করেন নতুন নেতৃত্বে চলবে ঢাকা মহানগর, তা হলে আমরা সেই নির্দেশনা মেনে নেব।

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত

যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো দাবি-দাওয়া তুলে ধরেনি পুলিশ

এ বছর বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি কমে আসার পূর্বাভাস আইএমএফের

রাজধানীর পাঁচ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে মে মাসে কলেরার টিকা দেওয়া হবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীর দেখা মিললো টরোন্টোতে

১৮ ডিসেম্বর র‌্যালি করার অনুমতি চেয়ে আ.লীগের চিঠি

বাংলাদেশের সঙ্গে রুপিতেই বাণিজ্য করতে চায় ভারত

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ১৫ আলামত পরীক্ষাগারে, দুই-এক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন

১৬৪টি অবৈধ হাসপাতাল ক্লি‌নিক বন্ধ করলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

তৈরি হচ্ছে নতুন লঘুচাপ, আকাশ মেঘলা থাকতে পারে

দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা কাশিমপুর কারাগারে