দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসতে আর মাত্র ৭ মাস বাকি। তবে এখনো বিএনপির মধ্যে আগামী নির্বাচনে জয়ী হাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। আর এ কারণে যুগ যুগ ধরে দলের কাজ করে আসা নেতাকর্মীরাও এখন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিএনপি থেকে।
হতাশা, ক্ষোভ এবং রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে দিন দিন বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজনীতি ছাড়ার প্রবণতা বাড়ছে। এ ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে তৃণমূলে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মাঠে বিএনপির কোন রাজনীতি না থাকায়, এমনকি নেতাদের কোন নেতৃত্ব না থাকায় কর্মীরা চরম হতাশ হয়ে পড়েছে। আর এ হতাশা থেকে প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন জেলা থেকে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা বিএনপির রাজনীতিকে বিদায় জানিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে কিংবা ভিন্ন কোন প্লাটফর্মে যোগ দিচ্ছেন। আবার অনেক কর্মী ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে পুরাদস্তুর মনোনিবেশ করছেন।
জানা গেছে, তৃণমূল নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশি হতাশার মধ্যে পড়েছে। কারণ, জেলার নেতারাও বর্তমানে রাজনীতি থেকে যোজন-যোজন দূরত্বে আছেন। রাজনৈতিক কোন কর্মসূচি না থাকায় জেলার নেতারা অনেকটা গা ঢাকা দিয়ে সময় পার করছেন। তাছাড়া জেলার নেতারা কর্মীদের কোন খোঁজ-খবর না নেয়ার কারণেও এ হতাশা বেড়েই চলেছে।
এদিকে, বর্তমানে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ আমীর খসরু ইতিমধ্যে বিএনপির রাজনীতিকে গুডবাই জানানোর আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
জানা গেছে, আমির খসরুর পথ ধরে কেন্দ্রের প্রায় শতাধিক পরীক্ষিত নেতা বিএনপির রাজনীতিকে গুডবাই জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হারুন আল রশীদ জানান, রাজনীতি একটি কর্ম। আর সে কর্ম যদি কোন না কোনভাবে বন্ধ থাকে তাহলে কর্মীরা তো হতাশ হবেই। হতাশা থেকে এমনটি হচ্ছে বলে তিনি অভিমত দেন।
তবে তিনি জানান, এ অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থা সহসাই কেটে যাবে, উদয় হবে নতুন সূর্যের। তবে এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা দল ছাড়ছেন তাদের মধ্যে কোন আদর্শ নেই। শুধুমাত্র আদর্শহীনরাই বিএনপি ছাড়তে পারেন। ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীমের বিষয়টি উল্লেখ করলে তিনি বলেন, এমন কোন ঘটনা তিনি শোনেননি।