পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, নির্বাচন এলেই বিএনপি নির্বাচন আতঙ্কে ভোগে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা জনগণের কাছে না গিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। নির্বাচন এলেই তারা আবোল-তাবোল বলতে থাকে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নত শরীয়তপুরের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘কৃতিনাশা’ আয়োজিত ইফতার মাহফিলের আগে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পানিসম্পদ উপমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছেন- বিএনপি নির্বাচনে এলে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসনও পাবে না। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়াও এমন উদ্ভট কথাবার্তা বলেছিলেন। বিএনপি নামক গণবিচ্ছিন দলটি জনরোষে এখন বিলুপ্তির পথে।
তিনি আরো বলেন, জিয়া বন্দুকের নলের মুখে পেছনের দরজা দিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিলেন। বিচারপতি সায়েমকে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করতে বাধ্য করেন। অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে রাজাকার ও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুনর্বাসন করেন, এমনকি রাষ্ট্রের উচ্চপদে আসীন করেন জিয়া। অনেক দেশপ্রেমিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেন। নিজের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য জিয়াউর রহমান অভিনব ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ ভোট করে শতকরা ১০০ থেকে ১২০ ভাগ ভোট দেখান।
এ কে এম এনামুল হক শামীম আরো উল্লেখ করেন, জিয়াই প্রথম এদেশের ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন। জিয়ার শাসনামলে এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। ঐ সময় দেশে হত্যা, গুম, ধর্ষণ বেড়ে গিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের সাবেক এ সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপি জানে, তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই তারা মাঝে-মধ্যেই নতুন ফর্মুলা নিয়ে হাজির হয়। ক্ষমতায় যেতে হলে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
সংগঠনের সভাপতি মো. তাহমিদুর রহমান সিহাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বিজয় খোরশেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. জিল্লুর রহমান, শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য জহির সিকদার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী জামিল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল প্রমুখ।