logo
Friday , 31 March 2023
  1. সকল নিউজ

‘আগামী নির্বাচন খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে’

প্রতিবেদক
admin
March 31, 2023 2:52 pm

‘আগামী নির্বাচন খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমার কাছে কেউ প্রত্যাশা করবেন না। নিজের কাজ, জনপ্রিয়তা দিয়ে জিতে আসতে হবে।’

দলের তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গতকাল বৃহস্পতিবার এ কথা বলেন। তৃণমূল নেতাদের কেউ কেউ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে বক্তব্য দিলে জবাবে দলীয় সভাপতি এ কথা বলেন।

বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র কালের কণ্ঠকে জানায়, বৈঠকে সংসদ সদস্যদের সঙ্গে দলের স্থানীয় নেতাদের বিরোধের বিষয়টি উঠে আসে। শেখ হাসিনা বলেন, দল চালাবেন নেতারা। এমপি, মেয়রদের খবরদারি চলবে না।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কোন্দল মিটিয়ে দলকে সুসংগঠিত করার নির্দেশনা দেন। তিনি নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আগামী নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সেখানে জয়ের জন্য দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

গতকাল দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অন্তত ১২ জেলা ও মহানগর কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেন। জেলা ও মহানগরগুলো হলো রাজশাহী জেলা ও মহানগর, খুলনা জেলা ও মহানগর, ঢাকা জেলা, রংপুর, নেত্রকোনা, কুমিল্লা দক্ষিণ, নোয়াখালী, নড়াইল, বরগুনা ও শেরপুর। এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১১টার দিকে গণভবনে প্রবেশ করেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা। দুপুর দেড়টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টা আলোচনা চলে। তৃণমূলের নেতাদের প্রত্যেকের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন নেতা কালের কণ্ঠকে জানান, বৈঠকে উপস্থিত জেলা ও মহানগরের নেতারা অনেকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন চান। তখন আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমি কাউকে মুখ দেখে মনোনয়ন দেব না। যাঁর সাংগঠনিক অবস্থান ভালো, রিপোর্টে যাঁদের ভালো অবস্থা আসবে তাঁদের মনোনয়ন দেওয়া হবে।’

বৈঠকে একাধিক জেলার নেতারা বলেন, সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিরা সাংগঠনিক নানা কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন। তাঁরা দলের ওপর খবরদারি করতে চান। এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘দলের নেতা যাঁদের বানিয়েছি তাঁরাই দল পরিচালনা করবেন। এমপি বা মেয়রদের দলের ওপর খবরদারি চলবে না।’ নির্বাচনের আগে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে তাগিদ দেন তিনি।

বৈঠকে যেসব জেলায় সহযোগী সংগঠনগুলোর দীর্ঘদিন কমিটি হয় না সেখানে দ্রুত সম্মেলন আয়োজনের নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা। তিনি জানান, খুলনা জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ১৮ বছর সম্মেলন হয় না। সেখানে অবিলম্বে সম্মেলন করতে হবে।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা এবং রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার নানা সাংগঠনিক সমস্যার কথা তুলে ধরেন। এ দুই নেতা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে দলীয় কোন্দল সৃষ্টির অভিযোগ তোলেন।

বৈঠকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দলের লোকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার করছে। আপনি বললে আমি পদত্যাগ করব।’ এ সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমার কাছে সবার রিপোর্ট আছে। মাঠে থাকো, কাজ করো।’

বৈঠকে একাধিক জেলার নেতার বাবা রাজাকার ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি অভিযোগকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা অনেকেই ৩০ থেকে ৪০ বছর আগে এদের দলে নিয়েছেন। এখন আপনাদের বিরুদ্ধে গেছে বলে তাদের বাবা রাজাকার ছিল বলছেন। এদের দলে নিয়েছিলেন কেন?

সর্বশেষ - সকল নিউজ

আপনার জন্য নির্বাচিত