আজ সোমবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘যত গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ রয়েছে আমাদেরকে দিক, আমরা খোলা মনে সমস্ত পরামর্শ বিবেচনা করব। যেখানে যৌক্তিক হবে, সেখানে পরিমার্জন, পরিশোধন, পরিশীলন করা হবে। এটি আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।’
‘কেউ কেউ বই না পড়ে, না দেখে কেউ একজন কী বলেছে তা শুনে অপরাজনৈতিক হিংসা-বিদ্বেষ নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন’ উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘তারা এ সরকারকে সরিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। এ রকম একটি গোষ্ঠী বলছে, নতুন বইয়ে ইসলাম নাই, যা আছে ওটা ইসলামবিরোধী। আপনার আশপাশে ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) ওয়েবসাইটে বই আছে, আপনি দেখে নিন। চিলে কান নিয়ে গেছে, আপনি তার পিছে না ছুটে নিজে দেখুন।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বাতিল করা একটি বইয়ের বর্ণপরিচয় থাকা একটি পৃষ্ঠার সঙ্গে আমার ছবি দিয়ে বলা হচ্ছে যে আমি পৌত্তলিকতা শিখাচ্ছি। সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে জীবনের হুমকি দেওয়া হলে সেটি সামাজিকতা নয়। যে সকল শিক্ষকরা সামান্য সম্মানীর বিনিময়ে দিনের পর দিন কষ্ট করে বইগুলো সম্পাদনা করেন তাদের যদি হুমকি দেওয়া হয়, তাদের আমি কী বলব?’
তিনি আরো বলেন, ‘কোনো মিথ্যাচার ও অপপ্রচার সহ্য করা হবে না। যা যৌক্তিক, সঠিক আমরা তা নিশ্চয় গ্রহণ করব। কোনো ইস্যু না পেয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে সরাতে নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের ওপরে ভর করার চেষ্টা করছেন। তাদের নিয়ে করুণা করা ছাড়া আর কিছু করার সাধ্য নাই। কারণ তারা যা বলছেন তা মিথ্যাচার। যে সকল ভুল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তা সংশোধন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।’
‘নবম-দশম শ্রেণির বই নিয়ে বিতর্ক তোলা হচ্ছে তা ১০ বছর আগে তৈরি’ মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, ‘এটি গত ১০ বছর পরে ধরা পড়ছে। এটি দেশের একজন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ সংশোধন করেছেন। তিন দফায় সেটি সংশোধন করা হলেও সেই ভুল রয়ে গেছে। সেটি এবার সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে।’
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচার করার আহ্বান জানান।
