রাজধানীর বনানীতে বিআরটিএ প্রধান কার্যালয়ে আজ রবিবার ‘ডিজিটাল সেবা প্রদান সংক্রান্ত মতবিনিময় এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ অবহিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাসের ভাড়া বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু সুপারিশ বিআরটিএর কাছে তুলে ধরবেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা।
বাসভাড়া বাড়ানোর কথা বলা অযৌক্তিক হবে বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গণপরিবহনে বছরে যা খরচ বেড়েছে সেটাকে দিনে হিসাব করে দেখেন। প্রতিদিন খুবই অল্প খরচ বেড়েছে। এর জন্য ভাড়া বাড়ানোর দাবি ওঠার কথা না। ভাড়া বাড়ানোর আলোচনা যুক্তিসংগত নয়। আমার বিশ্বাস ভাড়া বাড়ানোর আলোচনা উঠবে না।’
গত ২৮ ডিসেম্বর সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ কার্যকর করা হয়েছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের নিবন্ধন, ফিটনেস সনদসহ ৭৫টি পরিষেবার ফি নতুন হারে আদায় শুরু করেছে বিআরটিএ। সড়ক পরিবহন বিধিমালা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নতুন করে সর্বোচ্চ ২৩৩ শতাংশ পর্যন্ত ফি বেড়েছে।
বেশির ভাগ খরচ বেড়েছে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়িতে, গণপরিবহনে নয় উল্লেখ করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাসের কোনো ট্যাক্স বাড়েনি। বাসভাড়া বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। বাস মালিকরা এখন একটা অসিলা ধরে ভাড়া বাড়াতে চান। সরকারের পক্ষ থেকে এটাকে আশকারা দেওয়া উচিত হবে না।’