logo
Wednesday , 21 December 2022
  1. সকল নিউজ

চুক্তিতে চাতাল মালিকরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমন ধান সংগ্রহ শুরু

প্রতিবেদক
admin
December 21, 2022 9:28 am

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদ্বোধন করা হয়েছে আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।

এর আগে ১৭ নভেম্বর দেশব্যাপী আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাতাল কল মালিকরা চুক্তিতে আগ্রহী না হওয়ায় এই কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। অবশেষে জেলা প্রশাসকের একান্ত প্রচেষ্টায় দুই দফা সময় বাড়িয়ে চাতাল কল মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করা সম্ভব হলো।

জেলায় ১৭ হাজার ১৭৬ আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে চুক্তির পরিমাণ ১৫ হাজার ৬০৬ মেট্রিক টন। জেলার নয় উপজেলার মধ্যে ৬টিতে থাকা ১৬৭ টি লাইসেন্সধারী চালকলের মধ্যে ৯১ চালকল মালিক সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমন দেওয়ার চুক্তি করেছে।

এবার আমন মৌসুম চলাকালে সিলেটে ব্যাপক বন্যা হওয়ায় এবার সংগ্রহে প্রভাব পড়েছে। আমন মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চালকল মালিকদের কাছ থেকে সরকারিভাবে যে চাল সংগ্রহ করা হয় সেটি আসে সাধারণত সিলেট অঞ্চলের হাওড় এলাকা থেকে।

খাদ্যগুদামের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকারিয়া মোস্তফা। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইয়ামিন হোসেন, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সজীব কাউছার, জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদ্বোধন করা হয়েছে আমন ধান সংগ্রহ কার্যক্রম। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে এর উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলার ২৬টি অটোমেটিক চালকলের মধ্যে সবকয়টি আমন দেওয়ার বিষয়ে চুক্তি করেছে। ১৪১টি হাস্কিং ও মেজর চালকলের মধ্যে ৬৫টি চালকল চুক্তি করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে ৫১১.৯৮০ টন, বিজয়নগর থেকে ৩৪১.৮২০ টন, আশুগঞ্জ থেকে ১৪২৩৩.০৮০ টন, কসবা থেকে ৩৪৪.৯৭০ টন, সরাইল থেকে ১৭৪.২১০ টন চাল সংগ্রহের চুক্তি করা হয়। প্রতি কেজি চাল সংগ্রহ করা হয় ৪২ টাকা কেজি দরে।

সূত্রটি আরও জানায়, ১৭ নভেম্বর থেকে চাল সংগ্রহে চুক্তির কাজ শুরু হয়। চুক্তির নির্ধারিত সময় ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র একজন চালকল মালিক ২০.৫ টন আমন দিয়ে চুক্তি করে। এ অবস্থায় ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়েও চুক্তির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ সম্ভব হয়নি। ওই সময় পর্যন্ত ২৫ জন মিল মালিক ৭০৪ টন চাল দেওয়ার চুক্তি করেন। এরপর ১৩ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম চালকল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠক ফলপ্রসূ হলে ৯১ চালকল মালিক ১৫৬০৬.০৬০ টন চাল দেওয়ার চুক্তি করে।

জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বপন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যে আমন উৎপাদিত হয় তা চিকন। সরকারি ভাবে সংগ্রহ করা হয় মোটা। মোটা আমন বিভিন্ন হাওর এলাকা থেকে এসে থাকে। পাশাপাশি এবছর সরকারি ভাবে ৪২ টাকা দর দিয়েছে। তাই চাতাল মালিকরা চুক্তিতে আগ্রহ ছিল না। অবশেষে জেলা প্রশাসকের একান্ত প্রচেষ্টায় মালিকরা চুক্তি করেছে।

জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছ থেকে আমন সংগ্রহের বিষয়ে তথ্য পাওয়ার পর চালকল মালিকদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠক করি। নিজেদের লোকসান হলেও চালকল মালিকরা শেষ পর্যন্ত চুক্তি করায় তাদের ধন্যবাদ জানাই। এ জেলায় চাল সংগ্রহে সুনামিসহ নানা দিক চিন্তা করে মূলত তারা চাল দিতে রাজি হয়।

সর্বশেষ - সকল নিউজ